পুরনো গার্লফ্রেন্ডকে ফ্রিজে রেখে নতুন গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে বসবাস
সাবেক গার্লফ্রেন্ডকে মেরে ফ্রিজে বস্তাবন্দি করে রাখার দায়ে জেলে পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াহিওর এক ব্যক্তি ও তার নতুন গার্লফ্রেন্ডকে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্তুরো নভোয়া নামে ওই মার্কিনির সাবেক গার্লফ্রেন্ড গত ২২ জুন থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গত মাস থেকে নতুন গার্লফ্রেন্ড ক্যাটরিনা লেইটনকে নিয়ে ওয়াহিওর ইয়ংসটাউনে দিব্বি বসবাস করে আসছিলেন আর্তুরো। নতুন গার্লফ্রেন্ড ক্যাটরিনা সাবেক গার্লফ্রেন্ডের টেলিফোন থেকে শুরু করে তার গাড়ি ব্যবহার এবং তার পোষা কুকুরের যত্নআত্তিও করে আসছিলেন।
সব ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু বিপত্তিটা বাধে গত শনিবার। ফ্রিজের ভেতর থেকে মরদেহ বের করে ফেলেন আর্তুরোর বাড়িওয়ালার স্ত্রী।
আতুরো বাড়িওয়ালাকে শনিবার বলেন, তিনি তার ফ্রিজটা বেইসমেন্টে রাখতে পারবেন কিনা। কারণ, তার বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তিনি ‘ফ্রিজের মাংসগুলো নষ্ট করতে চাচ্ছিলেন না।’
কিন্তু বাড়িওয়ালার স্ত্রী বিষয়টাকে সন্দেহের চোখে দেখা শুরু করছিলেন। তার সন্দেহ বেড়ে যায় যখন তিনি দেখেন ফ্রিজটি লক করা। তারপর ফ্রিজের লক ভেঙে দেখার পরিকল্পনা করেন। ফ্রিজ খুলে দেখা যায় সেখানে একটি লাশ।
উল্লেখ্য, আর্তুরোর সাবেক গার্লফ্রেন্ড শ্যানন গ্রেইভস গত ২২ জুন থেকে নিখোঁজ বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু শ্যাননের সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, তারা সর্বশেষ তাকে দেখেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।
এদিকে ক্যাটরিনা লেইটন গত মাস থেকে আর্তুরোর সঙ্গে বসবাস করে আসছিল। শ্যাননের গাড়ি, ফোন নাম্বার ব্যবহার থেকে শুরু করে তার পোষা কুকুরটি পর্যন্ত দেখভাল করতো। এছাড়া জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ওয়ালমার্ট থেকে ফ্রিজটি কিনে এনেছিলেন ক্যাটরিনা।
শ্যানন গ্রেইভসের মরদেহ পরীক্ষা করে দেখছে ওয়াহিওর একটি মেডিকেল প্রতিষ্ঠান।
এদিকে হত্যাকাণ্ড জড়িত সন্দেহে আর্তুরো ও ক্যাটরিনাকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন