‘সীমান্ত দিয়ে বৈধ ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গরু আনতে পারবে’
রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে যেসব গরু ব্যবসায়ী বৈধভাবে দেশে ভারতীয় গরু আনতে চায় আগামী কোরবানি ঈদে ভারতীয় গরু আনার ক্ষেত্রে সীমান্তে তাদেরকে কোন বাধা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) আধুনিকায়নে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে বুধবার বিকেলে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় যেসব ঘাটাল রয়েছে সেসব ঘাটালের মাধ্যমে বৈধভাবে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। বাংলাদেশে যেসব গরু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে চায় তাদের ব্যবসা করতে দেয়া হবে। এজন্য শুধুমাত্র তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, ভারতীয় গরু আনার জন্য বাংলাদেশি রাখাল ও ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্রম করতে পারবে না। তবে ভারতের ব্যাপারিরা জিরো লাইনে গরু নিয়ে আসলে নিয়ম অনুযায়ী এদেশের ব্যবসায়ীরা তা নিয়ে আসতে পারবেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য অাধুনিকায়নসহ বিজিবিকে সময়ের সঙ্গে যুগোপযোগী গড়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০৪১ হাতে নেয়া হয়েছে। সেই ভিশনে অন্তর্ভূক্ত থাকবে বর্ডারগুলোতে সার্বক্ষণিক ও বিশেষ নজরদারির জন্য এ্যাডহক ভিত্তিতে রিজিয়ন সুজন, সন্ত্রাস ও চোরাচালান দমনে যৌথবাহিনী সম্বনয় করা, মাদক পাচারে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীদের সঙ্গে সুসর্ম্পক স্থাপন করা হবে।
‘এছাড়া সারাদেশে বিজিবির নতুন ৩টি সেক্টর, ৮টি ব্যাটারিয়ন স্থাপনসহ ৪টি রির্জাভ ব্যাটালিয়ন করা হবে। পুরো বর্ডার সুরক্ষার জন্য পাঁচ হাজার ফোর্স নিযোজিত রয়েছে ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হবে। অাইনশৃঙ্খলাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সীমান্ত হত্যা বর্তমানে কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্ডারে গরু ব্যবসায়ী নিহতের সংখ্যাও এখন কমে এসেছে।’
সীমান্ত সুরক্ষায় বাংলাদেশ-ভারতে ৯৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত রাস্তা এবং বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২৮৫ কিলোমিটার রাস্তা ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যেন রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ বর্ডার দিয়ে দেশিয় অস্ত্র ঢুকতে না পেরে সে ব্যাপারে বিজিবি সর্তক অবস্থানে বিজিবি রয়েছে।
এছাড়া সীমান্ত এলাকায় অপরাধ কমাতে সমন্বিত টহল পরিচালনা, গোয়েন্দা কার্যক্রম আরো জোরদার, প্রতিবেশী বাহিনীর সাথে সম্পর্ক গড়ে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্ত এলাকার জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচির কথা বলেন বিজিবির মহাপরিচালক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন