‘পুলিশরা আমাকে সবার সামনে পোশাক খুলতে বলে’ বাধ্য হয়ে খুলেছি’!
নাইট ক্লাবে নেশা জাতীয় পানি পান করার অবস্থায় ঝগড়া করছিলেন এক নারী মডেল। সেই অপরাধে জেলবন্দী পুরুষ কয়েদিদের সামনেই তাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কলম্বিয়ার ক্যালিতে। শুধু পোশাক খুলতে বাধ্য করাই নয়, সেটির ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি ছড়িয়েও দিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। এমনই অভিযোগ করেছেন ক্যাথরিন মার্টিনেজ।
জানা গিয়েছে, ২৭ বছর বয়সি এক সন্তানের মা ওই নারী আগে একটি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপির কাজ করতেন। এরপরই মডেল এবং ডিজে হিসেবে কাজ শুরু করেন। ঘটনার দিন নেশা জাতীয় পানি পান করার কলম্বিয়ার বিখ্যাত তেজো গেম খেলার সময় বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরই পুলিশ তাঁকে আটক করে।
এই সময় পায়ে ব্যথাও লাগে তার। কিন্তু ক্যাথরিনকে সাহায্য করার বদলে পুলিশ অফিসাররা তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। জানালার সঙ্গে হাতকড়া বেঁধে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখে। কিন্তু ব্যথার কারণে ক্যাথরিন বসার জন্য চেয়ার চাইতে থাকেন। খুলতে বলেন হাতকড়াও।
এরপরই ক্যাথরিনকে পোশাক খুলতে বলেন উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা। তাহলেই তাঁর হাতকড়া খোলা হবে এবং বসার জন্য চেয়ার দেওয়া হবে। শেষপর্যন্ত নিরুপায় হয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও ওই কাজটি করতে বাধ্য হয় ক্যাথরিন। তার পোশাক খোলার মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দীও করে রাখেন অনেকে।
এই প্রসঙ্গে ক্যাথরিন বলেন, ‘পুলিশ অফিসাররা আমাকে বলে, আমার যদি হাতকড়াটি খুলে চেয়ারে বসতে হয় তাহলে আমাকে সবার সামনেই পোশাক খুলতে হবে। আমার শরীর দেখতে চায় তারা। এরপরই বাকি বন্দিরাও সমস্বরে সম্মতি জানাতে থাকে। বাধ্য হয়ে পোশাক খুলেছি। আমার কিছু কিছু জিনিস মনে আছে, কিন্তু সবটা মনে নেই। এটুকু মনে আছে ওরা আমাকে ভিডিও তোলার কথাটিও জানিয়েছিল।’
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ক্যাথরিন বাধ্য হয়েই নিজের পুরো পোশাক খুলছেন। তার একটি হাত জানলার সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে বাঁধা।
গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যালি পুলিশের প্রধান হুগো কাসাস। ওই নারীর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর জন্য কর্মকর্তাদের ভর্ৎসনাও করেন। এদিকে, ঘটনায় ক্ষুব্ধ ওই মডেল ইতিমধ্যে পুলিশের নামে অভিযোগ করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন