বৈবাহিক ধর্ষণ শাস্তিমূলক অপরাধ নয় : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বিয়ের পর স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনসঙ্গম করাকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ বলা হয়ে থাকে। নিঃসন্দেহে এমন ঘটনায় নারীরা চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে অসুস্থ আর বালিকা বধুদের ক্ষেত্রে এটি একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতা। এরপরও বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। বৃহস্পতিবার একটি মামলার পর্যবেক্ষণে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ অপরাধ নয় বলে বলে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর বয়স যদি ১৫ বছরের বেশি হয়, তাহলে স্বামীর বলপূর্বক মিলনকে বৈবাহিক ধর্ষণ বলা যাবে না।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ (২) ধারায় স্ত্রীর বয়স যদি ১৫ থেকে ১৭ বা তার বেশি হয়ে থাকে, তাহলে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনমিলনে বাধা নেই। এই ধারাটি বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে আবেদন করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের দাবি, ১৮ বছর বয়স না হলে মেয়েদের বিয়ে করা ভারতীয় আইনে নেই। তাহলে ৩৭৫ (২) ধারাটি তো বাল্যবিয়েকে প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল।

সংগঠনটির এই দাবির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ধর্ষণ আইনে ৩৭৫ (২) ধারাটিতে যৌনমিলনের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া উচিত।

কারণ, এই ধারা ‘বিবাহ’ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে সুরক্ষিত করে।

এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমবি লকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কের সারাংশে বলা হয়েছে, ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে ধর্ষণ আখ্যা দেওয়া যায় না। এতএব একে শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা যায় না।