সাকিব নিজে এসেই ভক্তের সাথে পরিচিত হন
সাকিব আল হাসানের সাথে বিদেশ সফর! কে না হতে চায় এই সফরের সঙ্গী। তাই তো হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের আয়োজিত ‘সাকিবের সাথে চায়না, কে যেতে চায় না’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটভক্তদের আগ্রহ ছিলো আকাশ ছোঁয়া। সেখান থেকে জয়ী হন পাঁচজন। ভাগ্যবান পাঁচ বিজয়ী ভক্তকে নিয়ে চীন সফর করে এসেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
দেশে ফিরে সফরের অভিজ্ঞতার কথা আগেই জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাণভোমড়া। সাকিবের কাছে সফরটি ছিলো স্মরণীয়। তার ভক্তদের জন্যও যে সফরটি স্মরণীয় ছিলো সেটা বলাই বাহুল্য। রীতিমতো ঘোরের মধ্যে ছিলেন তারা। যেন স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখা। পাঁচ ভাগ্যবান বিজয়ী স্বপ্নের সফরের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেখান থেকে দুই জনের অভিজ্ঞতা প্রিয় পাঠকদের জন্য।
রাইয়ান কবীর ছিলেন এই সফরের সঙ্গী। প্রিয় তারকার সঙ্গে সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রাইয়ান বলেন, ‘২৯ তারিখ দুপুরে ফ্লাইট ছিলো আমাদের। দুপুরের একটু আগেই পৌঁছে গেলাম বিমানবন্দরে। আমাদের পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল সাকিব আল হাসানকে। বিশ্বাস হলো যে সত্যিই সাকিবের সাথে যাচ্ছি। একসঙ্গে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিলাম আমরা।’
সফর নিয়ে রাইয়ান আরো বলেন, ‘কুনমিংয়ে যাত্রা বিরতি ছিলো। সেখানেই বাঁধ সাধলো আবহাওয়া। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট বাতিল হলো। এরপর আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো একটি হোটেলে। সেখান থেকে রাত তিনটার দিকে রওনা দিলাম বেইজিংয়ের উদ্দেশে। পরদিন বেরিয়ে পরলাম হুয়াওয়ের এক্সিবিশন সেন্টারের উদ্দেশে। বের হওয়ার ঠিক আগেই ঘটলো অবাক করা ঘটনা। সাকিব আল হাসান নিজে থেকে এসে পরিচিত হন আমাদের সঙ্গে। সেই মুহূর্তটা আসলেই মনে রাখার মতো।’
সাকিবের সাথে আড্ডা দেয়া প্রসঙ্গে রাইয়ান বলেন, ‘হেঁটে হেঁটে হুয়াওয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি দেখার মাঝে আমরা গ্রুপ ছবি তুলে ফেললাম। তারপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আড্ডা দেয়া হলো। ভ্রমণের সবচেয়ে স্বরণীয় মুহূর্ত সম্ভবত এটাই ছিলো। একদম খুব কাছের মানুষের মতো নিজের নানান বিষয় আর আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন। এমনকি হাসি-ঠাট্টাও চললো কিছুক্ষণ।’
বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের আরেক ভক্ত ফারদিন আরাফাত সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চীন ভ্রমণ- আমার জীবনের সেরা ঈদ উপহার। যা প্রত্যাশ্যার থেকেও অনেক বেশি। বিমানবন্দরে যখন অন্যান্য ভাগ্যবান কয়েকজনের সঙ্গে আমি প্রথমবারের মতো সাকিব আল হাসান ও তার পরিবারকে দেখতে পেলাম তখনই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি।’
উচ্ছ্বসিত ফারদিন আরো বলেন, ‘বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরই সাকিবের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় এবং আমরা প্রথম গ্রুপ ছবি তুলি। হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক ও উচ্চমানসম্পন্ন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখার সুযোগ পর ক্রিকেট নিয়ে সাকিবের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠি।
পরের দিন আমরা চলে যাই চীনের বিখ্যাত গ্রেট ওয়াল অব চায়না দেখতে। এক কথায় পুরো ভ্রমণটিকে হুয়াওয়ের শ্লোগানের মতো করে বলা যায় যে, ‘মেক ইট পসিবল’, হুয়াওয়ে ইনডিড, ‘মেড ইট পসিবল।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন