৪৬ বছর পর মায়ের আদর!
ঘটনাস্থল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডালাস বিমানবন্দর। সেই বিমানবন্দরের অভ্যর্থনা গেটের দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন রেমন্ড আব্রু (৪৭) ও অ্যান্থনি উইগস (৪৬) নামের দুই ব্যক্তি। সম্পর্কে তাঁরা দুই ভাই। আর অপেক্ষা যার জন্য, তিনি তাদের মা। তাঁর সঙ্গে তাদের দুজনের দেখা হবে ৪৬ বছর পর। আর এ কারণেই দুই ভাইয়ের অধীর অপেক্ষা!
অবশেষে সেই ক্ষণ এল। বিমানবন্দরের অভ্যর্থনা গেট পার হতে দেখা গেল এলসি নামের এক প্রবীণ নারীকে। তাঁকে দেখেই খুশিতে ঝলমল করে উঠল অ্যান্থনি উইগস ও রেমন্ড আব্রুর চোখ-মুখ। এলসি দুজনের একজনকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘তুমি রেমন্ড?’ হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়তেই আবেগঘন এক দৃশ্যের অবতারণা হলো। মা সমানে আদর করতে থাকলেন তাঁর সন্তানকে, যেন ৪৬ বছরের আদর একবারে পুষিয়ে দিতে চান তিনি!
নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি অ্যান্থনি। তিনিও গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মাকে। এবার দুই ছেলেকে প্রাণভরে আদর করতে থাকেন মা এলসি। স্বজনরা তো বটেই, পুরো বিমানবন্দরের মানুষ দেখল সন্তানদের সঙ্গে মায়ের পুনর্মিলনের এই মধুর দৃশ্য।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মা আর দুই ছেলে ৪৬ বছর আগে পুয়ের্তো রিকোতে ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপের জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে চলে যান এলসি। রেমন্ড দাদা-দাদির জিম্মায় থাকে। আর অ্যান্থনিকে দত্তক দেওয়া হয়। পরে রেমন্ড দাদা-দাদির কাছ থেকে টেক্সাসে বাবার কাছে চলে যান। অ্যান্থনি চলে যান ক্যালিফোর্নিয়াতে। দুই ভাই পরস্পরকে দেখতে পান বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার ২৮ বছর পর। এরপর তাঁরা মায়ের খোঁজ করতে থাকেন। অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর চেষ্টার পর মাকে খুঁজে পান তাঁরা।
আনন্দিত মা বললেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে যখন নিশ্চিত হলাম হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের দেখতে পাচ্ছি শিগগিরই; তখন প্রজাপতির মতো উড়ছিলাম আমি।’ আর আনন্দিত দুই সন্তান জানালেন, মাকে খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকও কিছুটা অবদান রেখেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন