‘অকারণ দয়া ন্যায় বিচার ব্যবস্থাকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে’

দুই ভক্ত নারীকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের দণ্ড ঘোষণার আগে আদালতের অপরাধী গুরমিত রাম রহিম ওরফে ‘রকস্টার বাবা’ কেঁদে জার জার হয়ে ক্ষমা ভিক্ষা করেছিল বিচারকের কাছে। জবাবে বিচারক বলেন, ‘কোনো ক্ষমা নয়- জংলি জানোয়ারের মতো কণ্ড করেছো!’

মঙ্গলবার নবভারতটাইম্‌স.কম জানায়, আদালতে ধর্ষক গুরমিত সিংয়ের তর্ক-বাহাস, কান্নাকাটি কোনোকিছুই বিচারক জগদিপ সিংয়ের ওপর কোনো আসর ফেলেনি। রায় দেওয়ার সময় বিচারক অত্যন্ত কঠোর জবানে বলেন,

গুরমিত জংলি জানোয়ারের মতো কাণ্ড করেছে। সে নিজের অনুসারীদের সঙ্গে অনাচার করেছে। সে ক্ষমার অযোগ্য।

গেতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জারি করা জজের আদেশে লেখা রয়েছে, ধর্ষণপীড়িত দুজনই গুরমিতকে ‘ভগবানের’ স্থানে রেখেছিলেন। তাদের সঙ্গে তার উল্টো আচরণ করা ছিক হয়নি।

বিচারক রায়ে আরও বলেন, ধর্ষণ শুধু শারীরিক নির্যাতন নয় বরং এর শিকারকে পুরো জীবনের জন্য বিনষ্ট করে দেয়।

নিজ ভক্তদের বলাৎকারের দোষে দোষী গুরমিতের ক্ষমার আবেদন খারিজ প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, ‘অকারণ দয়া দেখালে ন্যায় বিচার ব্যবস্থা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এর ফলে আইনের শাসনের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাবে। ’

আসছে খুনের মামলার রায়ও

অপরদিকে, ধর্ষক এই ভণ্ডের বিরুদ্ধে দুটি খুনের মামলার শুনানির দিনও নির্দিষ্ট হয়েছে।

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সিবিআই এই মামলায় চূড়ান্ত সওয়াল করবে।

এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর চূড়ান্ত সওয়াল-জওয়াব হয়ে গেলে, সেই খুনের মামলার রায় ঘোষণা হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, দুই ভক্তকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে খবর করে ভণ্ডবাবার কোপে পড়েছিলেন চণ্ডীগড়ের সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি। নিজের পোষা গুন্ডাদের দিয়েই ওই সাংবাদিককে খুন করানোর অভিযোগ রয়েছে রাম রহিমের বিরুদ্ধে।

এমনি শান-শৌকতময় জীবন ছিল ধর্ষক ও খুনের দায়ে অভিযুক্ত ভণ্ড গুরমিতের

রামচন্দ্রের খুনই শুধু নয়, ডেরা সচ্চা সওদা নামে তার আখড়ার প্রাক্তন ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে খুনের মামলাও ঝুলছে রাম রহিমের বিরুদ্ধে। ভারতের নিম্ন আদালতে সেই মামলার শুনানিও শেষ পর্যায়ে।