আফ্রিদি-আমিরদের ছাড়াই বিপিএল?

বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বড় একটা আকর্ষণ হয়ে থাকেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তবে নভেম্বরে বিপিএলের পঞ্চম আসরে শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিরদের নাও দেখা যেতে পারে। ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের এবারের আসর। অন্যদিকে ৪ নভেম্বর থেকে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি আসর ‘ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি কাপ’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। সঙ্গে নিজ দেশের খেলোয়াড়দের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার শর্ত পূরণের কথাও বলা হয়েছে। আর এতেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিপিএলে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে। কারণ ওই একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি লিগটি।

পাকিস্তানের ‘ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি কাপ’ অবশ্য এই প্রথম অন্যদেশের লিগের সময় সূচীর সঙ্গে ঝামেলা পাকাচ্ছে না। গত আগষ্টেও এই টুর্নামেন্টের সূচী ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ১৩ জন ক্রিকেটারের ‘এনওসি’ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। যারা কিনা ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ও ইংলিশ কাউন্টিতে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছিলেন। যা নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়েছে। পরে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি নভেম্বর পর্যন্ত ‘ন্যাশনাল টি-টুয়েন্টি কাপ’ স্থগিত করেছিলেন। এখন ফের তারিখ ঘোষণা করায় এবং বিপিএল ও গ্লোবাল টি-টুয়েন্টি লিগের সঙ্গে তা মিলে যাওয়ায় আরেকবার সেই বিকর্তই তৈরি হচ্ছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন এর পরিচালক আমজাদ হোসেন মনে করিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটারদের ঘোরোয়া ক্রিকেটে খেলার শর্ত পূরণই সবার আগে, ‘আমি বলতে পারি জাতীয় টি-টুয়েন্টি লিগই এখানে অন্যান্য লিগের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।’ এদিকে কমপক্ষে ৭জন খেলোয়াড় দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল টি-টুয়েন্টিতে খেলার জন্য বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছেন। তারা হলেন- ওয়াহাব রিয়াজ, উমর আকমল, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফকর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ, আনোয়ার আলি ও ইমাদ ওয়াসিম। বিপিএলের বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ না হলেও শহীদ আফ্রিদি ও জুনায়েদ খান বিপিএলে খেলার কথা জানিয়েছেন।
কিন্তু যদি এই তারকারা সত্যিই খেলতে না পারেন? বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছেন, ‘অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি আমরা এখনো কোন কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে শুনিনি। তবে সত্যিই যদি এমন হয় তবে খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কেননা বিপিএল বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক লিগ। তবে আমরা এমন পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নই। আমাদের হাতে প্রচুর বিদেশি খেলোয়াড় আছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটার যারা খেলতে পারেবেন না তাদের সেই জায়গায় রিপ্লেস করা হবে।’

সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো