সস্তায় অবৈধ সম্পর্ক, তাই বিয়ে করতে আগ্রহ হারাচ্ছে পুরুষেরা!

ধর্মীয় ও সামাজিক সব দৃষ্টিকোণ থেকেই বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে বিয়েকে বলা হয়েছে ঈমানের অর্ধেক। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পায়। বিয়ে মানব জীবনের অন্যতম চাহিদাও বটে। তবে বর্তমান সময়ে পুরুষদের মধ্যে বিয়ের আগ্রহটা কমেই যাচ্ছে। আসলে যদি মুখের কথা খসলেই মেলে তাহলে আর ছাঁদনাতলায় যাওয়ার দরকার কী!

ঠিক এ কারণেই আমেরিকায় যুবকদের মধ্যে বিবাহিতের শতাংশ কমেছে। ২০০০ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ২৫-৩৪ বছর বয়সি মার্কিনদের নিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে বিবাহিত কমেছে ১৩ শতাংশ। সমাজতাত্ত্বিক মার্ক রেগনেরাস বলছেন, সস্তায় অবৈধ সম্পর্ক হওয়ায় এই বিয়েতে অনীহার কারণ।

সস্তায় শারীরিক সম্পর্ক মানে যার জন্য সময় আর আবেগ- দুয়েরই খরচ খুব কম, একেবারে নগণ্য। চাইলে মেলে। চিপ: দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ মেন, ম্যারেজ অ্যান্ড মনোগ্যামিতে রোগনেরাস বলছেন, বিয়ে আর পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হলেও দুটো ভিন্ন বাজার। বিয়ে মানে দায়িত্ব, বিয়ে মানে দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া।

আগেকার দিনে মেয়েরা সাধারণত বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত। ফল বিয়েই ছিল একমাত্র ভদ্রস্থ উপায়। কিন্তু এখন চাইলেই দেখা যাচ্ছে খারাপ ছবি, জন্মদাতার দায়ভারও কার্যত নেই। অন্য আর পাঁচটা জিনিসের মত সম্পর্ক এখন বিক্রয়যোগ্য, ফলে পয়সা ফেলে বা অন্যভাবে- ইচ্ছেমত তা ম্যানেজ করছেন পুরুষরা।

রেগনেরাস বলেছেন, কুড়ির কোঠায় থাকা প্রতি তিনজনের একজন পুরুষ কখনও বিয়েই করবেন না।

এছাড়া পুরুষদের মধ্যে শিক্ষা আর কর্মসংস্থানের হার যে কমছে সে জন্যও তিনি দায়ী করেছেন এই সস্তায় শারীরিক সম্পর্কে। গবেষণা বলছে, ২৫-৩৪ বছরের মধ্যে গ্র্যাজুয়েট পুরুষদের সংখ্যা মেয়েদের থেকে ৬ শতাংশ কম। তার কারণও অবোধ্য সম্পর্কের সহজলভ্যতা। লেখাপড়া শিখে কেরিয়ার তৈরির দরকার কী, যখন বিয়ে ছাড়াই মেলে।

মহিলারা বিয়েই বিশ্বাসী, বিশ্বাসী কমিটমেন্টে। কিন্তু বিয়ের ব্যাপারে চালকের আসনে এখনও পুরুষরাই। তারা বিয়েয় বিশ্বাস হারিয়েছে। তাই অনেক সময়েই দেখা যায় মেয়েরা এমন বিয়ে করতে বাধ্য হয়, যা ব্যর্থ হয় কিছুদিনের মধ্যে। ফলে যতদিন পুরুষের কাছে সহজলভ্য থাকবে, ততদিন বিসমকামী মহিলাদের পার্টনার খুঁজে পেতে সমস্যা হবে বলে রেগনেরাস জানিয়েছেন।