কী করে ঘটল এই আজব কাণ্ড? ফোনে ফোনে সন্তান প্রসব!
হারিকেন ইরমায় বিধ্বস্ত গোটা আমেরিকা। স্তব্ধ জনজীবন। জানালার বাইরে চোখ রাখলেই উত্তাল প্রকৃতির ভয়াল রূপ। আঁতকে উঠছে হৃদয়। এদিকে ঘরে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। তা হলে উপায়? প্রসব যন্ত্রণার মধ্যেই উপায় খুঁজতে লাগলেন মায়ামির অধিবাসী ওই গর্ভবতী মহিলা। বাড়িতে তাঁকে সাহায্য করার মতো কেউ নেই। বাইরে রাক্ষুসে ঝড়ের উত্তাল নৃত্য। প্রকৃতির এমন দুর্বোধ্য শাসনে হার মানতে রাজি নন তিনিও। তড়িঘড়ি ডায়াল করলেন হেল্প লাইন নম্বর ৯১১-তে। ফোন ধরতেই ডাক্তারবাবুকে প্রসব যন্ত্রণার কথা জানিয়ে সাহায্যের আর্জি করেন।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সামনে অসহায় জ্যাকসন হেলথ সিস্টেমের চিকিৎসকরাও। শত চেষ্টাতেও গর্ভবতীর বাড়িতে পৌঁছানো কার্যত অসম্ভব, এটা বুঝতে পেরেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন ‘ফোনে ফোনেই হবে ডেলিভারি’। ফোনের একপ্রান্তে গর্ভবতী মা, অন্যপ্রান্তে চিকিৎসক। সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করার আপ্রাণ চেষ্টায় সে দিন ঠিক-বেঠিকের হিসেব মাথায়ই আসেনি তাঁর। চিকিত্সকের পরামর্শেই রাজি হয়ে যান তিনি। এর পর অনর্গল একের পর এক নির্দেশ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু, গর্ভবতী মা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে অবশেষে নিজের সন্তানের প্রসব করালেন নিজেই। ওই মহিলার এমন দুঃসাহসিক কাজে রীতিমতো স্তম্ভিত চিকিত্সকরা।
পরে মা এবং তাঁর সন্তান, দুজনকেই জ্যাকসন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা ও তাঁর সন্তান পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।-জিনিউজ
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন