মাদরাসার পানির ট্যাঙ্কে ইঁদুর মারা বিষ
আলিগড়ের একটি মাদরাসার পানির ট্যাঙ্কে ইঁদুর মারার বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাত দু’জনের বিরুদ্ধে। চাচা নেহেরু নামে ওই মাদ্রাসার শীর্ষপদে রয়েছেন ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির স্ত্রী সালমা আনসারি।
পানির ট্যাঙ্কে বিষ মেশানোর ঘটনায় তিনিও অত্যন্ত আতঙ্কে রয়েছেন। তবে ওই মাদ্রাসার খাবার পানির ট্যাঙ্কে সত্যিই বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছে কি না, তা জানার জন্য পানির নমুনা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮ বছর আগে। প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী ওই প্রতিষ্ঠানের। চাচা নেহেরু মাদ্রাসার কাজকর্ম পরিচালনা করে আল নূর চ্যারিটেবল সোসাইটি। এই সোসাইটির প্রধান সালমা আনসারি। এই ঘটনার পর মাদ্রাসায় সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অজ্ঞাত দু’জনের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩২৮ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আলিগড়ের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার রাজেশ পাণ্ডে জানান, ঘটনার দিন এক শিক্ষার্থী পানি পান করতে গিয়ে দেখতে পায় এক ব্যক্তি পানির ট্যাঙ্কে কিছু মেশাচ্ছে। অন্য একজন পাশেই পাঁচিলের ওপর হাতে পিস্তল নিয়ে বসে আছে। ওই দুজন সেখানে কী করছে জানতে চাইলে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুজন।
ওই দু’জন পালিয়ে যাওয়ার পর ট্যাঙ্কের পাশে ইঁদুর মারার বিষের খালি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে ওই শিক্ষার্থী। তখনই সেই ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
খবর দেয়া হয় পুলিশকে। ওই ট্যাঙ্কের পানি যাতে কেউ না খায়, সে বিষয়েও সতর্কতা জারি করা হয়।
আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজের প্রধান কর্মকর্তা এহতিশাম আহমেদ জানান, ইঁদুর মারার বিষ মানুষের পক্ষে প্রাণঘাতী নয়। তবে বেশি পরিমাণে ওই বিষ শরীরে গেলে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন