সৌদি আরবে চালু হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেন

দ্রুতগতির ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এ লক্ষ্যে দেশটির রাজধানী রিয়াদ থেকে জর্ডান সীমান্তবর্তী আল জওয়াফ প্রদেশের গুরায়াত শহর পর্যন্ত বিশ্বর অন্যতম দীর্ঘ দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বরে প্রায় দুই হাজার ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ উদ্বোধন করা হবে।

এতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষের বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। এই রেলপথ তৈরি হওয়ার ফলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের সময় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কমবে।

সৌদি রেলওয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এর ফলে সৌদির উত্তরে বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।’

এক বিবৃতিতে সৌদি রেলওয়ে জানিয়েছে, ওই লাইনে চলাচলকারী প্রত্যেকটি ট্রেন ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলবে এবং ৪৪৪ জনের মতো যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। দুই শিফটে ভাগ হয়ে দিনে ও রাতে একটি করে ট্রেন চলবে।

এই রেললাইনের জন্য ছয়টি রেলস্টেশন নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাসহ গাড়ি পার্কিং, দোকান, ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্রামকক্ষ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাশাপাশি সৌদি আরবের দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার মধ্যে যাতায়াতের জন্যও উচ্চগতির ট্রেন চালু করা হচ্ছে। ‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ নামের বিশেষ এই ট্রেন সার্ভিস ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট।

‘হারামাইন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত ৪৫৩ কিলোমিটার পথে বিরতিহীনভাবে চলাচল করবে। এতে হজ, উমরা ও জিয়ারতকারীরা নিরাপদ, আরামদায়ক এবং যানজটমুক্তভাবে শহর দুটির মধ্যে চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি এতে বাস সার্ভিসের ওপরও চাপ কমবে।

এই রেললাইনের ১০টি লেনের মধ্যে ছয়টি লেনের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজগুলো আগামী কয়েক মাসে শেষে হবে বলে আশাবাদী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পটি জেদ্দায় অবস্থিত বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রেলওয়ে স্থাপনার অংশবিশেষ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রেললাইনটি নির্মিত হচ্ছে। বৈদ্যুতিক এই রেললাইনটি জেদ্দা থেকে মক্কা পর্যন্তও চালু হবে।

সৌদি আরবে নির্মাণাধীন ৪৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ উচ্চগতির ইন্টারসিটি রেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম হিসেবে হারামাইন হাইস্পিড রেল প্রকল্পটি ‘ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে’ বা ‘মক্কা-মদিনা হাই স্পিড রেলওয়ে’ নামে পরিচিত। এটি হজ, উমরা ও দর্শনার্থী মিলিয়ে বছরে তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে আশা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।