স্কুলে আগেও বহিষ্কার হয়েছিল বখাটে ইয়ামিন
বখাটের উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় নবম শ্রেণির মেধাবী স্কুলছাত্রী রোজিফা আকতার সাথী (১৫)।
ওই উত্ত্যক্তকারী বখাটের বাবা মীর আমিনুর রহমানকে রোববার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নেয়ার সময় তার স্বজন ও সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কয়েকজন পুলিশকে আহত করে তাদের ওয়াকিটকি ও আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরেই আলোচনায় আসে বগুড়ার ওই বখাটে। কে এই বখাটে, কী তার পরিচয়? কী করে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা করার সাহস পেল?
কিইবা তার এত ক্ষমতা যে, তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি স্থানীয় চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা জানান, সাথীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি হুজাইফাতুল ইয়ামিনকে বখাটেপনার কারণে এর আগে একটি থেকে বহিষ্কার করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) আবদুল জলিল জানান, বখাটে ইয়ামিন আগে দুপচাঁচিয়া বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ত। বখাটেপনার কারণে তাকে স্কুল থেকে বের করে দিলে সে পাশের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গুপিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এবার তার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা।
এদিকে মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হেরুঞ্জা, মহিষমাণ্ডা ও বজরাপুকুর এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে। তবে মূল আসামি ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার করতে পারেনি খোয়া যাওয়া ওয়াকিটকিও।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের ওপর হামলা, ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২৬ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন