নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে মিছিলকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর মাইজদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয়ে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ চলে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাফিয়া সুলতানা ও বিএনপিকর্মী ইরফাত। তাঁদের মধ্যে সাফিয়ার হাতে পুলিশের ছোড়া গুলি লাগে।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন ও জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলমগীর আলোসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ মুহুর্মুহু ফাঁকা গুলি চালায়। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের রশিদ কলোনির বাড়ি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেন। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে শাহজাহানের বাড়িতে জড়ো হতে থাকে। পরে সেখান থেকে একত্র হয়ে মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এতে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনকে কিল-ঘুষি মারেন। এর পর পুলিশ গুলি চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ঘটনার পর পরই মাইজদী-সোনাপুর সড়কের দুদিকে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। ওই সময় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করেন।
সংঘর্ষের পর পরই পুলিশ সদস্যরা মো. শাহজাহানের বাসায় ঢুকে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। বর্তমানে বাড়িটি ঘেরাও করে রেখেছেন আওয়ামী লীগ ও পুলিশ সদস্যরা।
এ ব্যাপারে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন