সপ্তাহে ১২ হাজার রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশে আসছে : ইউনিসেফ
মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১২ হাজার রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। পালিয়ে আসা শিশুদের কলেরা ও অপুষ্টির প্রভাব প্রবল বলেও জানায় এই সংস্থা।
গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানায়: চলতি বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়ছে বসবাসের সমস্যা এবং পানিবাহিত রোগের কারণে।
‘রোহিঙ্গা শিশুরা বিপজ্জনক পথ পার করে এসেছে এবং এখনও তারা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পাচ্ছে না।’
ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্থোনি লেক বিবৃতিতে জানান: মিয়ানমারে কিছু রোহিঙ্গা শিশু এত বেশি সহিংসতার শিকার হয়েছে যা কোন শিশুর দেখার কথা নয়। তাদের সবার জীবনেই অনেক ক্ষতি হয়েছে। এসব শিশুদের খুব দ্রুত খাবার, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং টিকার প্রয়োজন। তারা যেসব বিষয় সহ্য করে এসেছে সেটা থেকেও রক্ষা পেতে তাদের সহায়তা দরকার।
‘তাদের শিক্ষা, কাউন্সেলিং এবং আশা দরকার। এই সমস্যা তাদের বাল্যকাল নষ্ট করেছে, তাদের ভবিষ্যত এভাবে নষ্ট করতে দেওয়া যায় না।’
ইউনেসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবেডারে বলেন: তারা খোলা জায়গায় বসবাস করছে। খাবার, নিরপদ পানি, স্যানিটেশন সুবিধা পাচ্ছে না। এসব কারণে তাদের পানিবাহিত ও অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
ইউনিসেফের রিপোর্টে বলা হয়, ক্যাম্পে বিশৃঙ্খল অবস্থার কারণে শিশু ও যুবকরা পাচারকারীদের হাতে পড়ে যাচ্ছে এবং কিছু মানুষ তাদের ভুলপথে নিয়ে যাচ্ছে। ইউনিসেফ রাখাইনে নৃশংসতা শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউনিসেফ এখন চারটি বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সেগুলো হলো- ১. বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থ প্রদান। ২. রোহিঙ্গা শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া এবং রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার হওয়া সব শিশুদের দ্রুত অবাধ মানবিক সুবিধা নিশ্চিত করা। ৩. নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের আবার মিয়ানমারে ফিরে যেতে সমর্থন দেওয়া। ৪. এই সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান টানা এবং রাখাইন রাজ্যে অ্যাডভাইজরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন