ওজন কমায় ‘বাসি রুটি’!
খাবার বেশি হয়ে গেলে কে না ফ্রিজে রেখে দেয় বলুন তো…। সে খাবারই পরের দিন খেয়ে যেমন রান্নার সময়ও বাঁচে, তেমনই খাবার-টাকা নষ্ট হয় না।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বাসি খাবারই সমস্যা ডেকে আনে, যার থেকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয় অনেককেই। কিন্তু অনেকেই বোধ হয় জানেন না বাসি রুটি খেলে কিছুটা হলেও উপকার হয়।
হ্যাঁ, এমনই শোনা যায় যে বাসি রুটি নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। রয়েছে নাকি অনেক গুণ। কি কি গুণ রয়েছে জেনে নেওয়া যাক-
১. বাসি রুটি নাকি ওজন কমায়- চটজলদি ওজন কমাতে চাইলে বাসি রুটি খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। তাই খাওয়ার ইচ্ছে বা পরিমাণ কমে বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে দেহে পুষ্টির ঘাটতিও নাকি দূর হয়। সঙ্গে যদি দুধ থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করতে পারে- ঠাণ্ডা দুধ দিয়ে বাসি রুটি খেলে নাকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতেও দুধ-রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৩. এনার্জির ঘাটতি দূর করতে পারে- মাঝেমধ্যেই ব্রেকফাস্ট মিস হয়ে যায়। কাজের চাপে, তাড়াহুড়োতে খালি পেটেই বেরিয়ে যান? তাহলে এক কাজ করতে পারেন, আগের দিনের রুটি আর এক গ্লাস দুধ খেয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এতে পেটটাও খালি থাকবে না। এনার্জির ঘাটতিও দূর হবে।
৪. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে- মনে কার হয়, বাসি রুটির মধ্যে থাকা ফাইবার হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমে যায়। তাই এবার থেকে বাসি রুটি ফেলে দেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখতে পারেন।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহয়তা করতে পারে- শোনা যায় ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসি রুটির জুড়ি নেই। তবে সব কিছুই চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী চলাই ভালো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন