বেতন নিয়ে আলাপে জেনে রাখুন

প্রথমেই আপনার ভুলটা ভেঙে দিতে চান বিশেষজ্ঞরা। হ্যাঁ, চাকরিপ্রার্থী হিসেবে আপনি নিজের বেতন-ভাতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন।

এমন নয় যে প্রতিষ্ঠান যে বেতন দিতে চায়, তার বাইরে আপনি আর কথা বলতে পারবেন না। আধুনিক শ্রমবাজারে যেকোনো প্রার্থী নিয়োগপত্র পাওয়ার আগে পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন। এতে করে কর্মীর মনে আক্ষেপ আসে না যে আরো ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল আমার। যদিও এখন অনেকে স্মার্টভাবে এ বিষয়ে কথা শুরু করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন জরিপের কথা তুলে ধরে বলেন, বিশেষ করে নারীরা কম্পানির নির্ধারিত বেতনের বাইরে কোনো কথাই বলতে চান না। এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু পরামর্শমূলক আলোচনা তুলে ধরা হলো—
কিভাবে মধ্যস্থতা করবেন?

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চাকরি দাতাদের পরামর্শের সমন্বয় করা হয়েছে এখানে। এরা ইন্টারভিউ নেওয়ার পর যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেন। তাঁরা বলছেন—

—আপনাকে কত বেতন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কথা বলতে বিন্দুমাত্র অস্বস্তিবোধ করবেন না। সেই সঙ্গে নিজের মূল্যমান প্রমাণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।

—এ আলোচনার সময় অবশ্যই যাবতীয় ধ্যান হবে পেশাদার। সেখানে পারিবারিক অবস্থা, ব্যক্তিগত অসুবিধা, আপনার ওপর নির্ভরশীল সদস্যদের সম্পর্কে বলা বা কর্মঘণ্টার বিষয়ে কোনো কথা বলতে নেই।

—কাজের চাপ এবং নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যৌক্তিক বেতন-ভাতা দাবি করতে হবে।

—অন্য কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে কিছু বলতে যাবেন না।

ব্যাকগ্রাউন্ড

যাঁদের সেলস ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, তাঁদের পক্ষে বেতন নিয়ে আলাপচারিতা অনেক সুবিধাজনক। কিন্তু সবাই তা পারেন না। এটা এক ধরনের দর-দামের বাজার। কিন্তু বিনয় ও ভদ্রতা বজায় রেখে তা করতে হয়। কাজেই তা মধ্যস্থতার বিষয়। সুচারুভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। আপনাকে কাঙ্ক্ষিত বেতন মাথায় রেখে চাহিদা প্রকাশ করতে হবে। বেতনের আলোচনায় মাথায় তিনটি অঙ্ক নির্ধারণ করাটা জরুরি—

প্রথমত, ঠিক যে বেতনে আপনি শেষ পর্যন্ত চাকরিটা করতে চান।

দ্বিতীয়ত, ওপরের অঙ্কটা মাথায় রেখে বেশিটা হাঁকতে হবে, তবে তা এলোমেলো নয়।

তৃতীয়ত, আরেকটি অঙ্ক ঠিক করে রাখুন যে কী পরিমাণ বেতনের প্রস্তাবে ‘না’ বলবেন।

এনডিটিভি অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার