গণপরিবহন বন্ধ করে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না : বিএনপি
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে ব্যর্থ করতে সরকার আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী পরিবহন বন্ধ করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এ সময় তাঁরা আরো অভিযোগ করেন, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাতে কোনো কাজ হবে না। বিএনপির সমাবেশমুখ জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না সরকার।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আহমেদ রিজভী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকার এই সমাবেশকে ব্যর্থ করতে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। এত দিন পরে সমাবেশ, সেটাকে সরকার ব্যর্থ করার জন্যই গত রাতে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে সরকার এই সমাবেশের ঢল থামাতে চাচ্ছে।’
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, বিভিন্ন জায়গা থেকে গণপরিবহনগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। আজকে রাস্তাঘাটে যানবাহন নেই বললেই চলে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে রেখেছে নেতাকর্মীকে। এটাই সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণ।’
‘তারা সমাবেশের অনুমতি দিলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল জায়গা ব্যবহার করতে দেয়নি। এসব করে সরকার জনতার ঢলকে থামাতে পারবে না। দুপুরের পরেই সমাবেশস্থলের সর্বত্র জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান সকালে বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে নেতারা আমাদের জানাচ্ছেন, তাদের সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এভাবে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না।’
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে বাড়ছে জনসমাগম।
রোববার সকাল ১০টায় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হলেও মূল আয়োজন শুরু হবে দুপুর ২টায়। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সমাবেশ।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছাবেন দুপুর ২টার পর। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১ মে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। গতকাল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমাবেশে খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন।
এর মধ্যে দলে দলে নেতাকর্মীরা আসছেন। সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ভিড় করতে শুরু করেছেন।
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম দেখা গেছে। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন