এত খুন এত ধর্ষণ কে করল তাহলে?

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সহিংসতার ঘটনার অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের হত্যা, তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া এবং রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিজেদের অব্যাহতি দিয়েছে সেনারা। খবর বিবিসির।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই সহিংসতাকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সেনারা তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন, নির্বিচারে গ্রামের লোকজনকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে। অথচ বার বার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নতুন তদন্তের রিপোর্টেও সহিংসতা এবং নির্যাতনের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই রিপোর্ট আসলে ‘হোয়াইট ওয়াশের’ চেষ্টা। মানবাধিকার সংস্থাটি সত্য ঘটনা অনুসন্ধানে জাতিসংঘের অনুসন্ধানকারীদের ওই এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েচেন।

ওই এলাকায় গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে কারণে সেখানকার চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিবিসিসহ বেশ কিছু সাংবাদিককে সঙ্গে করে ওই এলাকা ঘুরে দেখিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তারা।

বিবিসির দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদদাতা জোনাথন হেড জানিয়েছেন, তিনি নিজেই রাখাইনের বৌদ্ধদের রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন লাগিয়ে দিতে দেখেছেন। সে সময় সেখানে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল।