চামড়া শিল্প অমিত সম্ভাবনাময় খাত : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চামড়া শিল্প অমিত সম্ভাবনাময় খাত। ইতোমধ্যে চামড়া শিল্প দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানিকারী খাত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এ শিল্পের বিকাশে সরকার চামড়া ব্যবসায়ীদের রেয়াত ও ঋণ সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। শিল্পটিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেবে সরকার। বিদেশিদেরও এ খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় ট্রেড শো লেদারটেক বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চামড়া শিল্পের মাধ্যমে যে সব প্রডাক্ট তৈরি হবে তা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। এটা করতে পারলে এ শিল্পের প্রডাক্ট নতুন নতুন বাজার খুঁজে পাবে। আমরা চাই আমাদের চামড়া শিল্পের আরও প্রসার ঘটাতে বিদেশিরা যেন এ দেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসে। ব্যাবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কোরবানি ছাড়াও প্রতিনিয়ত প্রচুর পশু জবাই হয়। এ ক্ষেত্রে যারা চামড়া ছাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি আয়োজন চামড়া শিল্পে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে চামড়া রফতানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এতে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।
তিনি বলেন, চামড়া শিল্পকে ‘প্রডাক্ট অব দ্যা ইয়ার-২০১৭’ ঘোষণা করা চামড়া শিল্পের প্রসারে রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম নতুন দুটি চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলা হবে। তোমধ্যে সাভারে পরিবেশ সম্মতভাবে চামড়া শিল্প গড়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন,গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করে শোনানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক এবং রফতানিকারকদের সংগঠন এলএফএমইএবির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ ছাড়া ধারণকৃত বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশের ২৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও ফুটওয়্যার শিল্প সংশ্লিষ্ট মেশিনারি, কম্পোনেন্ট, কেমিক্যাল ও অ্যাক্সেসরিজ উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের আধুনিকায়নও উন্নয়নে এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স লিমিটেডের পরিচালক টিপু সুলতান ভুঁইয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন