ইসলামাবাদে ব্যাপক সংঘর্ষ, সেনা তলব
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ‘ইসলামপন্থীদের’ বিক্ষোভ ও সহিংসতা দমন করতে সেনাবাহিনী তলব করেছে দেশটির সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ ধারা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানায়, আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) অভিযোগ তোলে কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন তেহরিক-ই-লাবাইক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার অপসারণও দাবি করে তারা। এ দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ৮ নভেম্বর থেকে ইসলামাবাদের মূল প্রবেশদ্বার ফয়জাবাদে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে গতকাল বিক্ষোভকারীদের সরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে আট হাজার সদস্য মাঠে নামে। ফলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাদের। দিনব্যাপী চলা ওই সংঘর্ষে আহত হয় দুই শতাধিক। আহতদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০৫ জন সদস্য ও ৫০ জন সাধারণ মানুষ রয়েছে।
ডনের খবরে বলা হয় গতকালের সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে ওই পুলিশ সদস্য ছাড়াও আরো অনেকের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একজন বিক্ষোভকারীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে চার বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
এদিকে পাঞ্জাব প্রদেশে আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদের বাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ করে তেহরিক-ই-লাবাইক সমর্থকরা। একপর্যায়ে তারা আইনমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে। কিন্তু সে সময় তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিল না। এ ছাড়া লাহোর ও করাচির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের কাছে সেনা মোতায়েনের জন্য আবেদন করে শহরগুলোর প্রশাসন। এ কারণে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সেনাবাহিনী।
এদিকে পাকিস্তানের সব টেলিভিশন চ্যানেলে সংঘর্ষের ঘটনার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিলছে সর্বশেষ খবর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন