জনগণকে আতঙ্কে রেখে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

জনগণকে আতঙ্কে রেখে বিএনপি আগামী দিনেও নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগামী নির্বাচনে অবশ্যই যাবে, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। আমরা যেখানেই যাই জনগণ এখন একটি প্রশ্নই করে- ‘ভাই আগামী দিনে আমরা কি ভোট দিতে পার?’ এই আতঙ্ক তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণকে আতঙ্কে রেখে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না। শেখ হাসিনার অধীনে যদি নির্বাচন হয় তাহলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। গতবার যদিও ভোট কেন্দ্রে ২ একটা কুকুর, বিড়াল ছিল সেগুলোও আগামী দিনে পাওয়া যাবে না, যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে।’

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে ‘তারেক জিয়া সাইবার ফোর্স’ আয়োজিত সংগঠনটির ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনায় “ইতিবাচক রাজনীতি চর্চার প্রতীক তারেক রহমান” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার- নির্বাচন হতে হবে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আমরা হাসিনা, খালেদা কারও অধীনেই নির্বাচন চাই না। রাজনীতিবিদ হিসেবে যাকে চিনি না এমন ব্যক্তির নেতৃত্বে যেদিন নিরপেক্ষ সরকার গঠন হবে তার পরের দিনই বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সারা দেশে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য ভোট চাওয়া হচ্ছে দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সরকারি সh সুবিধা নিয়ে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন। অপরদিকে বিএনপিকে ছোট্ট একটা সমাবেশও করতে দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে জনগণ তা ভালো করেই বুঝে গেছে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফাতেমা খানমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পলাশ মণ্ডলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জন গমেজ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির আহমেদ রবিন ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।