শেষকৃত্যের আগ মুহূর্তে নড়ে উঠল শিশুটি!

ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন। সে অনুযায়ী শেষকৃত্যের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন বাবা-মা। প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে সদ্যোজাত যমজ সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তারা। শেষবারের মতো শোয়াতে গিয়ে ফের বুক কেঁপে উঠল বাবা-মার। হাতের প্লাস্টিকের মধ্যে নড়ে উঠেছে একটি শিশু। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটলেন অন্য হাসপাতালে। সেখানে জানা গেল, বেঁচে আছে শিশুটি।

জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করে তুমুল ক্ষোভের মুখে ভারতের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালটি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

আনন্দবাজার’র খবরে বলা হয়, দিল্লি পুলিশ ইতোমধ্যেই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

যমজদের দাদু প্রবীণ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালে তার মেয়ে বর্ষার যমজ ছেলেমেয়ে হয়।

চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটি মৃত অবস্থায় জন্মেছে। ছেলেটির অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাকে লাইফসাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিপুল খরচ কীভাবে জোগাড় করা হবে, তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা যখন উদ্বিগ্ন, তখন হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছেলেটিও মারা গেছে।

শেষকৃত্যের আয়োজন শুরু হয়। একেবারে শেষ মুহূর্তে হঠাৎই দেখা যায়, প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে একটি বাচ্চা নড়ছে! দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি বেঁচে আছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জানায়, ২২ সপ্তাহের অকালপ্রসূত ওই শিশুকে বাবা-মার হাতে দেওয়ার সময় তাদের দেহে প্রাণ ছিল না। তবে এই ঘটনার তদন্ত হবে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের দাবি, এই ‘বিরল’ ঘটনায় তারাও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। শিশুদের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। তাদের যেকোনো সাহায্য করতেও প্রস্তুত।

হাসপাতালের কোনো কথা শুনতে রাজি নন আত্মীয়-স্বজনরা। তারা বিষয়টিকে অবহেলা নয়, অপরাধ হিসেবে দেখার দাবি তুলেছেন। হাসপাতালটি বন্ধ করার দাবিও তুলেছেন।