রাঙামাটিতে আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সময় হত্যার উদ্দেশ্যে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মার্মাকে (৫০) পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার সুভলং খাগড়াছড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ির সামনে অরবিন্দকে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা তাৎক্ষণিকভাবে এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে নিজেদের অবস্থান ও বক্তব্য প্রদান করব।’
জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাসেদ জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সেখান থেকে না ফেরা পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাবে না।
এদিকে, একই সময় বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি রাসেল মার্মার ওপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মুছা মাতব্বর দুটি ঘটনার জন্যই সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার বিকেল ৩টায় রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
তবে জনসংহতি সমিতির মুখপাত্র সজীব চাকমা জানিয়েছেন, ‘আমি এই ধরনের কোনো ঘটনার খবর জানি না। আর এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জনসংহতি সমিতি জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’
এর আগে সকালে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সমর্থক অনাদি রঞ্জন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন