বাড়ি যাচ্ছে মুক্তামণি

বাড়ি ফিরছে মুক্তামণি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্রথম দফা চিকিৎসা গ্রহণ শেষে (শুক্রবার) সাতক্ষীরা জেলার কামারবায়সা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে সপরিবারে রওনা হবে সে।

মাস খানেক ‘ছুটি’ কাটিয়ে আবার হাসপাতালে ফিরে আসবে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় ও কাকডাকা ভোরে গাড়ি ঠিক করায় মুক্তার হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেয়ার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা আজই সম্পন্ন হয়েছে।

বার্ন ইউনিটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাড়ি ফিরে যাওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মুক্তামণির চিকিৎসা শেষ হয়নি। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস যাবত হাসপাতালে থেকে থেকে সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিল। তাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে মাস খানেকের ছুটিতে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।’

তিনি জানান, মা, বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মুক্তামণিকে গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব খরচে গাড়ি ভাড়া করে দিয়েছে। বাড়িতে অবস্থানকালে হাতের যত্নে কী করতে হবে, কোন ওষুধ কয় বেলা কিভাবে সেবন করতে হবে সে ব্যাপারে তার বাবা মাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বাড়ি ফেরার অনুমতি পাওয়ায় মুক্তামণি খুব খুশি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।

গত ১১ জুলাই মুক্তামণিকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফায় তার দেহে অস্ত্রোপচার হয়।