বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান এবং তার পর দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি। এদিন তাঁকে ও কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে। সকাল ১০টার পর থেকে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দীন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ব্রিটেনের বিমানবাহিনীর একটি বিমানে তিনি পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ জানুয়ারি দিল্লি হয়ে তিনি ফিরে আসেন তার মাতৃভূমিতে। সেদিন বাংলাদেশে ছিল এক উৎসবের আমেজ। পুরো দেশের মানুষ যেন জড়ো হয়েছিল তেজগাঁওস্থ ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায়। পরে ওই দিন বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণের মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, ‘দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে ভালোবাসা, এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরন বিশ্বে বিরল।’ মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি একথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার প্রতি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আসুন সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীরা বন্দুকের জোরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বহু ত্যাগ তিতিক্ষার পর আবারো সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন