স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাবলিগের দুই পক্ষে বৈঠকে ‘সমঝোতা’

বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকে সমঝোতার কথা জানিয়েছেন একজন আলেম।

ইজতেমা শুরুর ‍দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠক থেকে বের হয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজার মসজিদের খতিব মুফতি মাজহারুল ইসলাম এই সমঝোতার কথা নিশ্চিত করেছেন।

বেলা তিনটার পর মন্ত্রণালয়ের তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিকাল পাঁচটার পর সেখান থেকে বের হয়ে কারওয়ানবাজার মসজিদের খতিব মাজহারুল বলেন, ‘আড়াই ঘন্টার রুদ্ধদার বৈঠকে সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই সিদ্ধান্তে খুশি।’

‘সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়েছে’ জানালেও বিস্তারিত কিছু না বলে মাজহারুল বলেন, ‘সিদ্ধান্তের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন’।

২০১৪ সাল থেকে মাওলানা সাদই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে চলতি বছর তার ইজতেমায় অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে আসছে তাবলিগের একটি অংশ। তার দেশে আসা ঠেকাতে বুধবার বিমানবন্দর মোড় সাত ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা।

এতে রাজধানীর উত্তর অংশের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগাযোগ বন্ধ থাকে দিনভর। আর নজিরবিহীন ‍দুর্ভোগের মধ্যে সংবেদনশীল বিবেচনায় সড়ক দখলকারীদেরকে তাদেরকে বাধা দেয়নি পুলিশ।

তবে মাওলানা সাদ এই বিক্ষোভের মধ্যেই বিমানবন্দর থেকে তাবলিগ জামাতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত কাকরাইল মসজিদে পৌঁছেন।

বৃহস্পতিবারও মাওলানা সাদের ইজতেমায় অংশগ্রহণ ঠেকাতে সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় অবস্থান নেয় তার বিরোধীরা। তবে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার কারণে তারা কাকরাইল মসজিদের দিকে যেতে পারেনি।

এর মধ্যে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মাওলানা সাদ ইজতেমা ময়দানে যাবেন না। তবে এতেও বিক্ষোভ থামেনি তার বিরোধীদের। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাওলানা সাদ ইজতেমায় যোগ দেবেন কি না, এটা ঠিক করবে তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা।

ভারতীয় উপমহাদেশের তাবলিগ জামাতের মূল কেন্দ্র দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় ওই পর্ষদকে বলা হয় নেজামউদ্দিন, যার ১৩ জন শুরা সদস্যের মাধ্যমেই উপমহাদেশে তাবলিগ জামাত পরিচালিত হয়।

এই পর্ষদের সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি সম্প্রতি নিজেকে তাবলিগের আমির হিসেবে ঘোষণা দেন। এতে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসা নিয়ে বাংলাদেশে তাবলিগের দায়িত্বশীলদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

বিক্ষোভকারীরা অবশ্য বলছেন, মাওলানা সাদ ইসলাম নিয়ে নানা মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। এ কারণে তাকে ইজতেমায় যেতে দেবেন না তারা।