‘পদ্মা সেতুর কাজ ডিসেম্বরেই শেষ করার চেষ্টা চলছে’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা নদীর মাটির লেয়ারের ভিন্নতার কারণে ১৪টি পিয়ার লোকেশনে পাইলের নকশা চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে চলতি বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সেতুমন্ত্রী এই তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা নদীর মাটির লেয়ারের ভিন্নতার কারণে ১৪টি পিয়ার লোকেশনে পাইলের ডিজাইন চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ ধরনের কাজে দেশ, বিদেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ। ইতিমধ্যে সেতুর একটি স্প্যান বসানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে (১৯ জানুয়ারি, শুক্রবার বসবে) আরও একটি স্প্যান বসানো হবে। পাইল ড্রাইভিং এবং পিয়ার কলামের পাশাপাশি অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে চলতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ কাজী রোজির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদক একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুব সমাজ হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না। তবে বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। তবু মাদক আসছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার এনজিও, সুশীল সমাজ, মসজিদের ইমাম, শিক্ষকসহ সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছে। ধূমপানের মতো মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে ৩৩ হাজার ১০২টি এবং চলতি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ৫০ হাজার পদ সৃজনের অংশ হিসেবে ৪৫ হাজার ৪৩৪টি নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। ফলে পুলিশ ও জনসংখ্যার অনুপাত ক্রমান্বয়ে কমছে। ভবিষ্যতে এ অনুপাত আরও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে পুলিশের জনবল বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সরকারি দলের সাংসদ বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে ২০১০ সালের মার্চ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সব থানায় অনলাইনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কার্যক্রম শুরু হয়। এতে কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় সব থানায় অনলাইনে জিডি চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, এটুআই প্রকল্পের সহযোগিতায় সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ চলছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিনিময়ের জন্য চুক্তি করা হয়েছে এবং এপিআই ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম চলছে। অনলাইন জিডি সফটওয়্যার এবং এনআইডি ও বিআরটিএর ডেটাবেজের মাধ্যমে ইন্টিগ্রেশন করার পর এই সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন