খালেদা আদালতে, হাসিনা ভোটের মাঠে কেন : ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় যখন নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে সেই সয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে জনসভা করে ভোট চাওয়া নিয় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
সংসদের বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যেখানে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন আদালতে যেতে হবে আর প্রধানমন্ত্রী হেলিকাপ্টারে চড়ে ভোট চেয়ে বেড়াবেন সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফরে গিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। গত এক বছর ধরে এ রকম সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। সব শেষ গত ৩১ ডিসেম্বর যশোর সফরে গিয়েও জনসভা করে নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি।
বিএনপির নেতাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আইনের লংঘন। আর যেহেতু খালেদা জিয়া মাঠে যেতে পারছেন না, সেহেতু এটি সব দলের সমান সুযোগের পরিপন্থী।
অবশ্য বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন খালেদা জিয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আর একজন আদালতে ছুটবেন, অন্যজন সরকারি টাকায় সফরে গিয়ে ভোট চাইবেন, এভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
‘আমাদের কথা পরিষ্কার, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নির্বাচন চাই। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যে নির্বাচনে দেশের মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
‘আমাদের যে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। সজাগ হতে হবে।’
‘মিত্যা মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না’- এমন মন্তব্য করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা সব প্রত্যাহারের দাবি জানান ফখরুল।
সরকার তার শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করলেও ফখরুল মনে করেন বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। তিনি বলেন, ‘তাদের উন্নয়ন শুধু একটি গোষ্ঠীর জন্য। আর সে গোষ্ঠী তারা, যারা ধনী। তারাই আরও ধনী হচ্ছে।’
‘এমন তাদের উন্নয়ন যে আজ ঢাকায় গাড়ি চলে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথেই বসে থাকতে হয়।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি নুরজাহান ইয়াসমিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ মহিলাদলের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন