বইমেলা জ্ঞানচর্চার দ্বার উন্মুক্ত করে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজেদের শিল্প সাহিত্যের মর্যাদা দিতে না পারলে আমরা পিছিয়ে যাব। বইমেলা শুধু বেচাকেনার মেলা নয়, এই মেলাকে বলা হয় প্রাণের মেলা। এই মেলার মাধ্যমে অনেক নবীন লেখকের জন্ম হয়, সৃষ্টি হয় নতুন পাঠক। বইমেলা জ্ঞানচর্চার দ্বার উন্মুক্ত করে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এছাড়া পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এ সময় সূচনা সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ পরিবেশন করা হয়।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, ক্যামেরুন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত কবি ও সাহিত্যিকরা কবিতা আবৃতি করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশুভ চক্ররা ভাষা সাহিত্য বোঝে না, মানে না। এ কারণে তারা যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলা একাডেমির উন্নয়ন হয় না। ভাষাচর্চার জন্য আমরা মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করেছি। তিনি বলেন, আমরা শুধু বাংলা একাডেমি বা ভাষা নিয়ে নয়, পুরো দেশ নিয়ে কাজ করছি। ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে আমাদের কোন বাধা নেই। কারণ বাংলা ভাষার জন্য আমাদের ছেলে মেয়েরাই প্রাণ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে কিছু অর্জন করা যায়। কোমলমতি শিশুদের বইয়ের প্রতি যেন আকর্ষণ বাড়ে এজন্য আমরা প্রতিবছর বই উৎসব পালন করি। বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই এই উৎসব। অবৈধভাবে যারা ক্ষমতায় আসে তাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। এজন্য তারা সৃষ্টিশীল কিছু করতে পারে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন