সোহেল কোথায় আছেন আমরা এখনও জানি না : রিজভী

আটক হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেলের হদিস জানেন না বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

সোমবার রাতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল সিলেট থেকে ফেরার পর তিনি কোথায় আছেন আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে যান সোহেল। এর পর মধ্যরাতে ঢাকা ফিরে মালিবাগ থেকে আটক হন তিনি।

রিজভী জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলার রায় কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১১ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে এসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের একটি তালিকা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছেন শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইকবাল হাসান; রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুন্দর বকস, জগলুসহ ১৪ জন; বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শাহীন, কাহালু উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমীরুল ইসলাম, যুবদল নেতা বাপ্পী, শাহীন শেখ, ছাত্রনেতা সন্ধান, সোনাতলা উপজেলা জোড়গাছা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিলন, বালুয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বিটুল ও ফজলু।

রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি সভাপতি শাহ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আবুল হোসেন বালি, জেলা যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাকিল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, জেলা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ও যুবদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুজা।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ-আল মবিন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খারেরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু হানিফ, কসবা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শিমুল, কুঠি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা হৃদয়, বাদৈর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহাগ, রমজান, শাফিউদ্দিন ও সাদ্দামসহ ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসম্পাদক মুন্সি একরামুল হক শাহীন, সদর উপজেলা ছাত্রদল নেতা নূর করিমসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চট্রগ্রামের ইপিজেড থানা বিএনপির সহসভাপতি মো. শাহজাহানকে বাসায় না পেয়ে তার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে পুলিশ মারধর করতে করতে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে ফরহাদ আল রাজীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রিজভী জানান, দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামানসহ তিনজন; নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা বিএনপি নেতা জালালউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফয়েজ উদ্দিন, বিএনপি নেতা রাহাত মিয়া, মোশাররফ মিয়া, নেকবুল মিয়া, ওছমান মিয়া, যুবদল নেতা আলমগীরসহ ১৫ জন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং জিসাস গাজীপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর সদস্য আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মনোয়ার হোসেন শামীম, পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিহানুল ইসলাম বুলাল ও পাবনা বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন গ্রেফতারকে করা হয়েছে বলে তালিকায় উল্লেখ করেন বিএনপির মুখপাত্র রিজভী।