থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের চাল কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল

চুক্তি চূড়ান্ত করতে বিলম্ব হওয়ার অভিযোগে থাইল্যান্ড থেকে চাল কিনবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে চলতি সপ্তাহে ভারত ও থাইল্যান্ডে চালের দাম পড়ে গেছে। বিদেশে থাইল্যান্ডের চালের চাহিদাও মন্থর বলে জানা গেছে। খবর ব্যাংকক পোস্ট।

২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ছিল থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় চাল আমদানিকারক দেশ। ওই সময় বন্যায় বাংলাদেশের ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

থাইল্যান্ড থেকে দেড় লাখ টন চাল কেনার পরিকল্পনা বাতিল করেছে বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে করা ওই পরিকল্পনা অনুসারে তারা এক টন চাল ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা দরে কিনতে চেয়েছিল।

খাদ্য মহাপরিদফতরের প্রধান বদরুল হাসান বলেন, তারা চুক্তি করতে এতটাই সময় নিয়েছে যে, তাদের কাছ থেকে চাল কেনার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে। আমরা প্রতিবেশী ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। স্থানীয়ভাবে চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রেও আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি।

ভারতে চালের দাম ৫ শতাংশ কমে গেছে। যে চালের টন ৩৪ হাজার ৯০০ টাকায় কেনা হতো। সেই চালে প্রায় এক হাজার টাকা কমে গেছে।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চালের দাম এতটা কখনও কমেনি। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এই দরপতনের ঘটনা ঘটেছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদারের এক চাল রফতানিকারী বলেন, চাহিদা কমে গেছে। ক্রেতাদের যে পরিমাণ চাল কেনার কথা ছিল, তা স্থগিত করে দিয়েছেন তারা। কাজেই দাম আরও পড়ে যেতে পারে।

ব্যাংককের এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, রফতানিকারকরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনস, ইরান ও চীনের মতো বৃহৎ বাজারের দিকে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত নতুন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহে দাম খুব বেশি ওঠানামা করেনি। কারণ চীনে নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে চালের মিলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল।