শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে মানুষের ঢল
একুশ মানে স্মৃতি রক্ত ফাগুন দিন, একুশ মানে বুকের মাঝে বাংলা রাখার ঋণ। একুশ মানে মাথা নত না করে জাতীয়তাবোধের চেতনায় শির উঁচু করে দাঁড়ানো। শোক ও শ্রদ্ধার মিশেলে তৈরি এক চেতনার নাম একুশ। তাইতো একুশ এলেই বাঙালি জাতি শাণিত করে নিজস্ব চেতনাবোধ। গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একুশের প্রথম প্রহরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা জানানোর পর ১২টা ১৮ মিনিটে সর্বসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় শহীদ বেদী।
এ সময় মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদীতে ঢল নামে সর্বসাধরণের। প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ওয়াকার্স পার্টি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়নের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সম্যবাদী দল।
এরপর শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), নাগরিক ঐক্য, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সমাজাতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যে শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে পলাশী পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি হৃদয় নিংরানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের লক্ষ্যে শহীদ বেদীর দিকে ধীর লয়ে এগিয়ে আসছে। এতে শামিল হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও টিএসসির পথ ধরে স্মৃতির মিনার ত্যাগ করছেন তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন