সিরিয়ায় হামলার ইঙ্গিত দিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিরিয়ার বেসামরিক মানুষের ওপর দেশটির সরকার রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে বলে পশ্চিমা দেশগুলো যে দাবি করছে তা প্রমাণিত হলে দামেস্কের বিরুদ্ধে সামরিক হামলায় আমেরিকার সঙ্গে ব্রিটেনও অংশ নেবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন মঙ্গলবার বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যদি সিরিয়ার বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর রাসায়নিক হামলার ঘটনা ঘটে এবং তা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় তাহলে দামেস্কের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটেন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।’

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, সোমবার পর্যন্ত পূর্ব ঘৌটায় অন্তত ৫৬১ জন নিহত হয়েছেন। হোয়াইট হেলমেট হিসেবে পরিচিত সিরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বলছে, দমবন্ধ হয়ে কমপক্ষে এক শিশু মারা গেছে।

সিরিয়ার বিরোধীদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, হামলার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশ কয়েকজনকে পাশ্ববর্তী আল-শিফোনিয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের শ্বাসনালীতে যন্ত্রণা, প্রদাহ, চোখ জালা-পোড়া ও মাথা ঘোরার লক্ষণ পাওয়া গেছে।

বিরোধী শিবিরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ মন্ত্রণালয় বলছে, কমপক্ষে ১৮ জনকে অক্সিজেন নেব্যুলাইজার সেবা দেয়া হয়েছে। হোয়াইট হেলমেট বলছে, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টে ভুগছেন।

বিদ্রোহীদের হাত থেকে পূর্ব ঘৌটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনী একাধিক ফ্রন্ট থেকে হামলা চালিয়ে আসছে। গত এক সপ্তাহে পূর্ব ঘৌটায় সরকারি বাহিনীর হামলায় নারী শিশুসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

পূর্ব ঘৌটায় এক মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রোববার ঐক্যমত পোষণ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের ঐক্যমত উপেক্ষা করে ঘৌটায় আসাদ সমর্থিত বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে।