টেকনাফ সীমান্তেও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় বিজিবি
মিয়ানমারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে কক্সাবজারের টেকনাফ সীমান্তেও শক্ত ও সর্তক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, মিয়ানমারের যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জবাব দিতে শক্ত ও সর্তক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। মিয়ানমারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এর পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা সীমান্তের হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, ঝিমংখালী, খারাংখালী, হ্নীলা, লেদা, নোয়াপাড়া, দমদমিয়া, টেকনাফ সদর, নাজির পাড়া, সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্তে বসবাসরত নাগরিকদের নাফ নদীতে মাছ ধরা ও চলাচলে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, সীমান্তে বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। মিয়ানমার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে যদি কোনো রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ে তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হবে।
এদিকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা আবদুল মতলব জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যবাসন বন্ধ করতে মিয়ানমারে আরেকটি নতুন কৌশল।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করুক সেটা চায়না মিয়ানমার সরকার। তারা বারবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের সেদেশ থেকে নিধন করতে চায়। যে সময় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে প্রত্যাবাসনের কাজ শেষ পর্যায়ে ঠিক ওই সময় নতুন করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তের ওপারে হঠাৎ ভারী অস্ত্র ও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। এতে বোঝা যায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ফিরে যাক তারা সেটা চায়না। তাছাড়া মিয়ানমারে এখনও সেনারা রোহিঙ্গাদের অত্যাচার চালাচ্ছে, ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসা এখনো বন্ধ হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন