আদিতি বৈরাগীকে ইভটিজিংকারীরা আসলে কে?
রুবাইত হাসান : আদিতি বৈরাগী আমার জানামতে ভিকারুন্নেসা কলেজের একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী।পড়াশুনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম,কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজেও তার আধিপত্ত আছে।যেমন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পরিষদের এক প্রতিযোগিতায় ও তৃতীয় স্থান দখল করে কলেজে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।
বিজ্ঞান মনস্কা এই মেয়েটি সেচ্ছাসেবী হিসাবেও ভূমিকা রাখেন বলে জানা যায়।গতকাল তার সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছে তথ্য প্রযুক্তি মহূর্তেই পুরো বাংলাকে বিষয়টিকে জানিয়েছে।জানতে পেরেছি এক বোনের পরামর্শে সে বিষয়টিকে ফেসবুক পাড়ার বাসীন্দাদের জানিয়েছে।আমার মনেহয় সত্যিই যা হয়েছে, মেয়েটিও তাই বলছে।কারন আরো ৮-১০ টা মেয়ের মতো আদিতি নয়।
আদিতি এক মেধাবী ছাত্রী,বিজ্ঞান মনস্কা,ক্ষুদে বিজ্ঞানী, সেচ্ছাসেবী কর্মীর নাম।আদিতি লিখেছে এরকম যে, ও শান্তিনগর দাঁড়িয়েছিল বাস পাবার জন্য, কিন্তু বেশ অপেক্ষা করার পরও যখন বাস পায়নি তখন সে হেঁটেই বাংলামটর আসে।পথে একটি মিছিলের মধ্যে পড়ে সে, জয় বাংলার স্লোগানের মিছিলরত কাপুরুষ বখাটে যুবক তরুনদ্বয় তাকে ঘিরে ইভটিজিং করে। অশ্লীল আচরনের মধ্যে নারীর পবিত্র স্তন, যে স্তন পান করে সে আজ তরুন যুবক হয়েছে সে পবিত্র স্তনের পর্দাটুকু ছিঁড়তে এতটুকু বিবেক নাড়া দেয়নি এ নরপশুদের।থাপ্পর পর্যন্ত মেরেছে, যে মেয়েকে বাবা মা দিনের পর দিন এক গুচ্ছ স্বপ্ন নিয়ে ভালবাসা মমতায় বড় করে তুলছে তারায় হয়তো কোনদিন হাত তোলেনি মেয়েটির গায়ে। নিশ্চিত ভাবেই এসব বখাটে নিশাশিক্ত ভণ্ড পোলাপান ছাড়া আর কিছু না।বিষয়টি নিরপেক্ষ মানবিক দিক থেকে আলোচনা করতে গেলে নিরপেক্ষ মানবিক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে সঠিক তথ্য স্টাডি, সচেতনতা ওরাজনৈতিক মনোভাব বিশেষভাবে জরুরী। মেয়েটি শারীরিক টর্চার থেকে মেন্টালি টর্চার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে।ও আরো জানিয়েছে যে বিষয়টি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও কলেজও জড়িত না।কিন্তু কুচক্র বিএনপি কতিপয় অসাধু প্রচারণাকারী তার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উস্কানী ইস্যু তৈরি করে মানক্ষুন্ন ও তাকে বিপদে ফেলার একরকম আঁচড়ে মরার মতো লেগেছে তাই প্রাইভেসি পাবলিক সরিয়ে সে পোষ্টটি অনলি মি করেছে।একজন পুলিশ অফিসার যদি সেখানে না যেত কী হতো? কী হতো তা সৃষ্টিকর্তায় জানে। কিন্তু এই যে একটা মিছিলে উত্তেজিত মাতাল জনতার ভিতর থেকে একজন মাত্র পুলিশ কত সহজ ভাবে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাসে তুলে দিল, এবং সে শারীরিক টর্চার নয় মানসিক টর্চারে আহত হয়েছে বিষয়টি কী আপনার এতটুকু অন্য মতো লাগছে না? এক আঙ্গ্যেলে ব্যাট পৌঁছেনি দেখেই আউট দিয়ে দিলেন।একজন বাণী ছুড়লো আপনিও দেখাদেখি মানবিক কবি হয়েগেলেন।কী শ্রুতি মধুর সব শব্দ ব্যাবহার করছেন একেকজন।কোন ইস্যু হলেই দেশপ্রেমিক মানবিক কর্মীতে ফেবুদি ছয়লাভ! ধরুন যদি পুলিশ অফিসার ওখানে না যেত কারন সে ভয়ও পেতে পারে স্বাভাবিক ভাবেই সে একা জন্য, তাহলে কী হতো? প্রশাসনকে মাথা নিচে আর পা উপরে ঝুলিয়ে মৌখিক নির্যাতন করা হতো, সরকারের একদল লাঠিয়াল বাহিনী আরো কত কী? আবার দেখুন পুলিশ যখন সেখানে গেল উদ্ভট চিন্তা, উত্তেজিত বাসনা বখাটে গ্যাং থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেখানে মার খেতে পারতো স্বাভাবিক, কীন্তু না তেমনটাও হয়নি।খুব সুন্দর ভাবে শটটি শেষ হয়েছে। আর আদিতিকে কৌশলে মেসেজ দেয়া হয়েছে, যে আমরা আওয়ামীলীগের লোক যাও বাসায় ফিরে ফেসবুকে পোষ্ট দাও, দেশের মানুষকে জানাও এরা জঘন্য।আর আদিতি তো আর এসব কিছু জানেনা, ও স্বাভাবিক ভাবেই স্টেপ কভার করেছে।
আদিতি কোনভাবেই বিষয়টির সাথে জড়িত না এবং তার সাথে যা হয়েছে আসলেই তা দুঃখজনক। আমার কাছে বিষয়টি এহেন পরিকল্পিত বলেই মনে হয়েছে। আজ সরকার ও স্বাধীনতার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামীলীগকে কলুষিত করার মাস্টার প্লান সাজানো কিছু বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীর বড় হাতিয়ার হয়েগেছে।যে কোন মতে শুধু ব্যক্তি টাচ করছে তারা, আর পত্রিকায় পাতায় সে ব্যক্তির নাম আর নাই, খুন করছে, নেশা করছে। কে করেছে? যুবলীগ নেতা, ছাত্র লীগ নেতা। আজ দেশের সিংহভাগ মানুষই তো আওয়ামীলীগ। কোন একটি দেশ নেই যেখানে অপরাধ নেই,এর জন্যই তো আইন আদালত সে নিয়ে পড়াশুনা আর থানা পুলিশ। না কি সরকার বলেছে আমাদের লোক বাদে সবার জন্য আইন? অপরাধ বন্ধ কিয়ামত পর্যন্ত হবে না আর এটা দিনে দিনে বৃদ্ধিই পাবে, আপনি যে কোন ধর্মের হয়ে থাকেন না কেন।আস্তিক মাত্র হয়ে থাকলেই বিষয়টি আপনি বিশ্বাস করে থাকেন।নাস্তিকরাও এ বিষয়টিতে একমত দিয়ে থাকেন। উপরের লাইনটি আরেক পড়ুন, আমি বলেছি যে নাস্তিকরাও সহমত। চিন্তা করেন…… প্রশাসন রাখা হয়েছে এসব নির্মূলের জন্য, সরকার তো আর নিজে মাঠে নামে আমাকে আপনাকে নিরাপত্তা দিবে না। এটা কী অদৌ সম্ভব? সুস্থ মস্তিকে।বিষয়গুলো চিন্তা করেন।এখন কথা হলো, আওয়ামীলীগ কর্মীরা জয় বাংলা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ইভটিজিং করছিল। আহা! এত সহজ? আপনি কাউকে কোপাবেন, আর আপনার বাবা দাদা স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা সব বলে দিবেন?মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারবেন? অবশ্য মানসিক রোগীরা এসব করতে পারে, আপনি আবার তাদের মধ্যে পড়ছেন কী না নিজে ভেবেই ফলাফল বের করুন।এখনই সময় চলুন শুরু করুন…….
লেখক: সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন