নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা : রাষ্ট্রীয় শোকে বাংলাদেশ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে (বৃহস্পতিবার) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

নিহতদের স্মরণে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে, ধারণ করা হয়েছে কালো ব্যাজ। এছাড়া আগামীকাল (শুক্রবার) দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।

বিমান দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে আজ (বৃহস্পতিবার) এ রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রীয় শোক পালনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে দেশি-বিদেশি ৫১ জন নিহত হয়েছেন। নিহত আরোহীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে ১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।

প্রজ্ঞাপনের পর যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের জন্য দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে তাদের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় শোক পালন উপলক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে সারাদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার ওই বিমানটিতে ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া বিমানটিতে থাকা ৩২ বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে ১০ জন বেঁচে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। তথ্যানুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসি, শাহরিন আহমেদ, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত, আলমুন নাহার এনি, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে এবং রিজওয়ানুল হক ওম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।