হাত পেতে নয়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াব : প্রধানমন্ত্রী

৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ আর কারও কাছে হাত পাতবে না, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তার উপস্থিতিতে সারাদেশে ও বিদেশে একযোগে একই সময়ে শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মানুষ উন্নত জীবন পাবে, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে। জাতির পিতা এটাই চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যেই তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি আর আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে যাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ শুরু করি। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে আবার ক্ষমতায় এসে অসমাপ্ত কাজে হাত দিই। আমরা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছি।’

শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তোমরাই আগামীতে দেশ চালাবে। তোমাদের মধ্য থেকেই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হবে। এজন্য তোমরা দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসবে। আমরা যেখানে রেখে যাবো সেখান থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শিশুদের প্রতি তার আদর, দোয়া ও আশির্বাদ দেন। শিশুদের সুন্দর জীবন কামনা করেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ায় তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকেরা গ্যালারিতে ছিলেন।