কাঠমান্ডু ট্রাজেডিতে না ফেরার দেশে শাহীনও

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সোমবার বিকাল পৌনে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।সোমবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ঢামেক বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, অনেক চেষ্টা করেও শাহীন ব্যাপারীকে আমরা বাঁচাতে পারলাম না। সোমবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে শাহীন ব্যাপারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ২টার দিকে তাকে ঢামেক বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এই ফ্লাইটে থাকা ৩৬ বাংলাদেশির ২৬ জন মারা যান। আহত হন ১০ জন।

আহত ১০ জনের মধ্যে গত ১৮ মার্চ ঢাকায় আনা হয় শাহীন ব্যাপারী। তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ তিনি মারা যান।
শাহীন বেপারীর গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বান্দেগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত সাইফুল ইসলাম। তিনি তার স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তানকে নিয়ে থাকতেন নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।

পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে মেসার্স করিম অ্যান্ড সন্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন শাহীন ব্যাপারী।