বিশ্বের ২০ দেশে শতাধিক রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার

যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে নার্ভ এজেন্ট দিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্র রাষ্ট্রগুলো একের পর এক রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একতা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানি, ফ্রান্স, ইউক্রেন, কানাডা এবং ইউরোপের আরও নানা দেশসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার রাশিয়ার ৬০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে সিয়াটলে বন্ধ করা হয়েছে রাশিয়ার কনস্যুলেটও।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি নমনীয় মনোভাবের জন্য সমালোচিত ট্রাম্প এই প্রথম ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেন। এর আগে কখনো এক সঙ্গে এত বেশি সংখ্যক রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি।

যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার এবং বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার চলমান অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এর ন্যাটো ও অন্যান্য বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে মিলে সমন্বিতভাবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানান হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, রাশিয়া গত ৪ মার্চ সামরিক-গ্রেডের একটি বিষাক্ত নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করে স্যালিসবারিতে রুশ সাবেক গুপ্তচর কর্নেল সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালকে (৩৩) হত্যার চেষ্টা করে।

এ হামলা করে রাশিয়া ‘রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের ভয়াবহ লঙ্ঘনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে’ বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘রুশ সরকারকে আমরা বলতে চাই; যখন আপনি আমাদের মিত্রদের আক্রমণ করবেন, তখন আপনাকেও গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’

এরই মধ্যে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর এ ‘উস্কানিমূলক’ পদক্ষেপের পাল্টা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন।