বিউটির হত্যাকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক ছাড় পাবে না

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া হাওরে ঘাসের ওপর পড়ে থাকা বিউটি আক্তারের হত্যাকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তারা কোনোমতেই ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামরুল আহসান।

গত ১৭ মার্চ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে হাওর থেকে বিউটি আক্তারের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন বেলা ১১টায় শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বিউটির বাবা। মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়া। বাবুল ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কলম চান বিবির পুত্র। স্থানীয়ভাবে পরিবারটি অত্যন্ত প্রভাবশালী।

প্রভাবশালীর পুত্র গ্রেফতার হবে কি-না জানতে চাইলে ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, ‘কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করবে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বাবুলকে ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। আসামি যতই প্রভাবশালী হোক কোনোভাবেই সে ছাড় পায় না।’

শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বাবুলের মাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সমর্পণ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বাবুলের মোবাইল ফোন বন্ধ। নানা কৌশলে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার মায়ের কাছ থেকেও তার সম্পর্কে তথ্য নেয়া হয়েছে।

বিউটির বাবা ও স্থানীয়রা জানান, গত ২১ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেন বাবুল। এ ঘটনায় ৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করা হয়। এরপর ১৭ মার্চ গুনিপুর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে হাওরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ মার্চ কিশোরীর বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে একই গ্রামের বাবুল মিয়া (৩২) ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চান বিবিকে (৪৫) আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা করেন।