কারাগারে মোবাইল সেবা, বন্দিদের কি পরিবর্তন আসবে?
বাংলাদেশের কারাবন্দিরা মোবাইল ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হচ্ছে মোবাইল সেবা।
একেকজন বন্দি প্রতি ১৫ দিনে একবার ১০ মিনিট করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তবে প্রতি মিনিটে ১ টাকা হারে বন্দিদের চার্জ দিতে হবে। এখন প্রশ্ন হল- ফলে বন্দিদের জন্য কী পরিবর্তন আসবে?
কারাকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বন্দিরা সরকারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। প্রথমে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সব কারাগারে এই ব্যবস্থাটি চালু করা হবে। খবর বিবিসির।
কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ফলে বন্দিদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে অনেকে হয়তো কারাগারে আসতে পারে না, নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করতে পারে না। কিন্তু টেলিফোনে যদি পরিবার সম্পর্কে খোঁজখবর পায়, তার মানসিক সুস্থতা বাড়বে। সেই সঙ্গে পরিবারের আর্থিক চাপও কমে যাবে।
তিনি জানান, এ জন্য প্রতি মিনিটে ১ টাকা হারে বন্দিদের চার্জ দিতে হবে। একেকজন বন্দি প্রতি ১৫ দিনে একবার ১০ মিনিট করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আগেই পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুই সদস্যের মোবাইল নম্বর কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হবে। সেই দুটি নির্দিষ্ট নম্বরেই তারা কথা বলতে পারবেন।
মহাপরিদর্শক (কারাগার) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন দুই বছর আগে এই উদ্যোগটি নেয়া হলেও নিরাপত্তার নানা সম্পন্ন করে অবশেষে এই সুবিধাটি চালু হচ্ছে।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলছেন, একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এসব কথোপকথন হবে, যাতে সব কিছু নজরদারির মধ্যে থাকে। একজন জেল সুপার মনে করলে তিনি সরাসরি কথা শুনতে পারবেন। এসব কথাবার্তাও হবে একজন কারা সদস্যের উপস্থিতিতে।
সাধারণ সদস্যরা কথা বলার সুযোগ পেলেও শীর্ষ সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরা এসব সুবিধা পাবেন না।
কারাগারে অবৈধ মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, সেটি বন্ধ করার জন্য আমরা অনেকদূর সফল হয়েছি। কারাগারে নিয়মিত সার্চ হচ্ছে- লাগেজ স্ক্যানার বসানো হয়েছে। ফলে অবৈধ জিনিসপত্রের প্রবেশ রোধ করতে পেরেছি।
তবে তারা যে কারাগারের অভ্যন্তরের ভেতরে বসেই কথা বলছে, হয়তো তা নয়। হয়তো তারা আদালতে যাওয়ার পথে বা সেখানকার হাজতে বসেও কথা বলতে পারে।
তিনি বলেন, তবে আমাদের নজরদারি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশা করছি, সাধারণ বন্দিদের জন্য এই সুবিধা চালু করার পর অবৈধ মোবাইল প্রবেশটাও বন্ধ হয়ে যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন