লোকসান বন্ধে আগেই বিমানের হজের ভাড়া আদায়
প্রতি বছর হজের সময় প্রথম দিকে হজ এজেন্সিগুলো যাত্রী না দেওয়ায় বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। ফলে লোকসানে পড়তে হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। তবে বিমান এবার সজাগ হয়েছে, সংকট উত্তরণে যাত্রী ভাড়ার টাকা আগেই আদায় করে নিচ্ছে তারা। জানা যায়, এবছর বাংলাদেশ থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। এই যাত্রী বিমান বাংলাদেশ ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স অর্ধেক করে বহন করবে। সেই হিসেবে বিমান বাংলাদেশ ৬৪ হাজার ৫০০ যাত্রী বহন করবে।
বিমান বাংলাদেশ সূত্রে জানা যায়, বিগত বছরগুলো হজ এজেন্সিগুলো সময়মত যাত্রী না দিতে পারায় অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়। অনেক সময় ফ্লাইট গেলেও আসন সংখ্যা ফাঁকা থেকে যায়। এমনকি বিগত বছর হজের ২৪ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়।
বিমানের হজের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, এ বছর হজ যাত্রী বহনের জন্য বিমান নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী বহন করা হবে। এই উড়োজাহাজের আসন সংখ্যা ৪১৯টি করে। এ ছাড়া চারটি স্বল্প মেয়াদি বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর লিজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার ফ্লাইট গ্লোবাল সংস্থার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুইটি উড়োজাহাজ আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
শাকিল মেরাজ বলেন, হজের সময় যাতে ফ্লাইট বাতিল না করতে হয়, তার জন্য হজ যাত্রীদের টিকিটের টাকা আগ্রিম নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর সৌদি আরবের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাছ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চাহিদামাফিক সিডিউলের আবেদন করেছি। আমরা আশা করছি আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে সিডিউল পেয়ে যাবো।
বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, ১৪ জুলাই প্রথম ফ্লাইট। ঠিক তার দুই মাস আগেই পরিপূর্ণ সিডিউল সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ হজ এজেন্সিগুলোর চাহিদা বা হাজীদের চাহিদা অনুযায়ী কোনো ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব না। সৌদি থেকে যেভাবে আমাদেরকে সিডিউল দেবে, সেই ভাবেই ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, আশা করছি হজের সময় কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন