ডিসির অনুমতি না নেয়ায় মাহফিল বন্ধ, মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা
ডিসির অনুমতি না নিয়ে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করায় মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় মাহফিলে আগত উত্তেজিত মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাজারে অবস্থিত ২টি মসজিদ, ১টি মাদ্রাসা, ৬টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ হামলায় মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ও ব্যবসায়ীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, মিফতাউল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আরিফুল রহমান ও এনায়েত উল্ল্যা, ছাত্র নজরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, আবদুল রহিম, আশ্রাফুল ইসলাম, শহীদ উল্ল্যা, মাদ্রাসার খাদেম মহি উদ্দিন, ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম ও মাওলানা জাবের হোসেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ-মাদ্রাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, কানকির হাট হাইস্কুলের সামনে মিফতাউল উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসা, বাজারের বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের জানালা, জমিরিয়া লাইব্রেরি, ফাইজা ক্লর্থ স্টোর, আরমান স্টুডিও, হিরা সুইস, মহিন স্বর্ণ শিল্পালয়, আরাফাত ডিজিটাল স্টুডিও।
সোমবার উপজেলার কানকির হাট বাজারে মাগরিব বাদ থেকে এশার নামাজের পূর্ব পর্যন্ত ঘটনাটি ঘটে।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে কানকিরহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আহলে সুন্নাত আল জামাতের উদ্যোগে ড. এনায়েত উল্ল্যা আব্বাসী জৌনপুরীর মাহফিল আয়োজন করে।
সকাল থেকে মাহফিলের সব প্রস্তুতি শেষে বিকালে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ভুইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু করা হয়।
এ সময় সেনবাগ থানার ওসি ও ওসি ডিবির নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মাহফিল মাঠে অবস্থান নেয়।
পরে সেনবাগ থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরী মাইক হাতে নিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি না থাকায় মাহফিল করা যাবে না বলে ঘোষণা করেন। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মাঠে উপস্থিত মুসল্লিরা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে সাধারণ মুসল্লিরা। পরে মাঠে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ভুইয়া, মীর হোসেন ও কোরেশীর সঙ্গে ওসির কথাকাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে মাঠ থেকে মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে আগতরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বিক্ষুব্ধরা মিছিল নিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে শিক্ষক, ছাত্র ও ব্যবসায়ীসহ ১০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষে সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কেশারপাড় ইউপির চেয়ারম্যান বেলাল ভুইয়া, যুবলীগ নেতা আলমগীরের সহযোগিতায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনেন।
এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন