ইরানে টেলিগ্রাম নিষিদ্ধ ঘোষণা
ইরানে টেলিগ্রাম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। দেশটিতে নানা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বিশ্বের জনপ্রিয় এ ম্যাসেজিং অ্যাপ বন্ধের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল এ তথ্য জানায়।
রাশিয়ান টেক গুরু পাভেল দুরুবের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, ইরানের ৪০ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় এ অ্যাপটি ব্যবহার করেন। যা ওই দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক।
এর আগে ইরান এখন বিশাল যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এক বিশাল যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান করছি। আমরা শক্তিধর শত্রুদের এক বিশাল ফ্রন্টের মোকাবেলা করছি।’
বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ইরানের গোয়েন্দামন্ত্রী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
খামেনী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে শত্রুদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তারা নানা চেষ্টা চালিয়েও আমাদের ক্ষতি করতে পারে নি। তবে আমরা যদি এই যুদ্ধকে গুরুত্ব না দিয়ে সরল চিন্তা ও হিসাব-নিকাশ করি তাহলে আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হব।’
তিনি বলেন, শত্রুরা তথ্য ক্ষেত্রের এই জটিল যুদ্ধে নানা ধরনের কৌশল ও পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এর মধ্যে তথ্য চুরি, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের ওপর প্রভাব বিস্তার ও তাদের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেওয়া, মানুষের চিন্তা-বিশ্বাসে পরিবর্তন আনা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অন্যতম।
বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি নিয়ে ইরানে সম্প্রতি যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, এ বিষয়টি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলেই এ ক্ষেত্রে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এই যুদ্ধে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং শত্রুদের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রতিরোধের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক কর্মসূচিও গ্রহণ করতে হবে। এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে যাতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন