গেইলের সেঞ্চুরিতে উল্লাস যুবরাজ প্রীতির
ক্রিস গেইলকে দুই হাত ভরে দিল মোহালির পিচ। চলতি আইপিএলে নিজের খেলা দুই ম্যাচেই পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন গেইল।
গত সোমবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খেলতে নেমেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন গেইল। সেই ঝড়ের ধারাবাহিকতা বৃহস্পতিবারও অব্যাহত রাখলেন এই ক্যারিবীয়। এদিন আগের ম্যাচের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি।
নিজের খেলা আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে করেছেন ৩৩ বলে ৬৩ রান। আর বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেললেন চলতি আইপিএল সেরা ১০৪ রানের ইনিংস।
আইপিএলের চলতি আসরে দুই ম্যাচে ১৬৭ রান নিয়ে সেরা অবস্থান গেইলের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২০১ রান নিয়ে সবার উপরে ব্যাঙ্গালুরুরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
চলমান ১১তম আইপিএলে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন গেইল। তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ পাঞ্জাবের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক প্রীতি জিনতা। শুধু প্রীতি জিনতাই নয়, গেইলের ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন সতীর্থ যুবরাজ সিং।
বৃহস্পতিবার গেইল যখন একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছিলেন তখন ডাগ আউটের পাশে বসে থেকে খুশিতে আত্মহারা ছিলেন প্রীতি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর গেইলের চেয়েও বেশি উচ্ছ্বসিত হয়েছেন প্রীতি।
ব্যাটিংয়ে অপেক্ষমাণ থাকা ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ডাগ আউটের পাশে বসে থেকেই গেইলের সেঞ্চুরি উদযাপন করেন।
ক্রিস গেইলের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করেছে কিংস একাদশ পাঞ্জাব। জয়ের জন্য সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে করতে হবে ১৯৪ রান। পাঞ্জাবের হয়ে ৬৩ বলে ১১ ছয় ও ১ চারের সাহায্যে ১০৪ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব গেইল।
মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কিংস একাদশ পাঞ্জাব।
উদ্বোধনীতে গেইলের সঙ্গে ৫৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। রশিদ খানের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হন তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ১৮ রান করেন পাঞ্জাবের এ ওপেনার।
তিনে ব্যাটিংয়ে নামা মায়াঙ্ক আগরওয়াল যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি গেইলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩০ রানের জুটি গড়ার পথে সিদ্ধার্থ কৌলের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন মায়াঙ্ক। তার আগে ৯ বলে এক ছয় এবং ২ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে ফেরেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে গেইলের সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন করুন নায়ার। ভুবেনেশ্বর কুমারের গতির বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেয়ার আগে ২১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন নায়ার।
উইকেটের এক প্রান্তে ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও ব্যতিক্রম ছিলেন গেইল। ইনিংস শুরু করতে মাঠে নামা পাঞ্জাবের এ ওপেনার খেলেন শেষ বল পর্যন্ত। তার দায়িত্বশীলতায় ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয় পাঞ্জাব। শেষ দিকে ৬ বলে ১৪ রান করেন অ্যারন প্রিন্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ১৯৩/৩ রান (গেইল ১০৪*, নায়ার ৩১, আগরওয়াল ১৮, রাহুল ১৮, প্রিন্স ১৪*)।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন