৯ বছরে হজ করেছেন সাড়ে ৯ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি
হজ ব্যবস্থাপনায় ক্রমেই উন্নতি করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। কয়েকবছর আগেও মধ্যস্বত্বভোগী দালালচক্রের হাতে জিম্মি ছিল সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনা। বর্তমান সরকারের আমলে তথ্যপ্রযুক্তির নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণে হজযাত্রীদের ভোগান্তি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজযাত্রীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের দুই দফার শাসনামলে (২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল) বাংলাদেশ থেকে মোট ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৮ জন পবিত্র হজ পালন করেছেন।
বছরওয়ারি প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৯ সালে ৪৫ হাজার ৮০১ জন, ২০০৮ সালে ৪৮ হাজার ৭৬৩ জন, ২০০৯ সালে ৫৮ হাজার ২২০ জন, ২০১০ সালে ৯১ হাজার ২২ জন, ২০১১ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৭ জন, ২০১২ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৫২ জন, ২০১৩ সালে ৮৭ হাজার ১৫৬ জন, ২০১৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ১৫৮ জন, ২০১৫ সালে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৫৮ জন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন এবং ২০১৭ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করেছেন।
২০১৮ সালেও সমসংখ্যক হজযাত্রীর পবিত্র হজ পালনের কথা রয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম প্রায় শেষ। চলতি বছর প্রথমবারের মতো হজ ক্যালেন্ডার চালু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজ-সংক্রান্ত সকল প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ায় এবারও নির্বিঘ্নে হজ করতে পারবেন হজযাত্রীরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে হজ মৌসুমে মক্কায় হজ অফিস স্থাপন, ২০১১ সাল থেকে জেদ্দার হজ টার্মিনালে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের জন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে হজ প্লাজা ভাড়া, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় দূরবর্তী পুরাতন ও পাহাড়ের উপর বাড়ি ভাড়া করার পরিবর্তে নিকটবর্তী সমতল ভূমিতে নতুন বাড়ি ভাড় করা হয়।
অন্যদিকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে হাজিদের সুবিধার্থে ২০১০ সালে হজ ক্যাম্পের ডরমেটরিতে পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি লিফট স্থাপন ও হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের বিমান/কাস্টমস/ইমিগ্রেশন এলাকায় সেন্ট্রাল এসি স্থাপন করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে তারা সদা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
২০১৬ সাল থেকে বছরব্যাপী হজ যাওয়ার জন্য হজযাত্রীদের প্রাক নিবন্ধন ও ক্রমিক নম্বর অনুসারে নির্ধারিত কোটার বিপরীতে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে সকল হজযাত্রীর তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করে অনলাইনে ভিসা লজমেন্ট ও হজের আনুষাঙ্গিক তথ্যাবলী সৌদি দূতাবাসে পাঠানো হয়।
হজযাত্রী ও এ সংক্রান্ত সকল প্রকার সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা হজ অফিসহ সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় আইটি হেল্পডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে তথ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন