গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত চাইনি : রিটকারী সুরুজ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়েছে যার আবেদনে তিনি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। তিনি অন্য জেলায় ভোট স্থগিতে কেন আবেদন করলেন এ বিষয়ে তৈরি হয়েছে জিজ্ঞাসা।

সুরুজ জানান, তিনি গাজীপুরের ভোট স্থগিত চাননি। তিনি চেয়েছিলেন তার ইউনিয়নের যে ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হয়েছে, সেসব মৌজায় ভোট স্থগিত চেয়েছিলেন।

রবিবার যে আবেদন জানিয়ে সুরুজ উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন, সেই আবেদন নিয়ে তিনি গত ১০ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে খালি হাতে ফেরেন। সে সময় তিনি আইনজীবী হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদকে বেছে নেন। কিন্তু সে আবেদন সেদিন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ হয়ে যায়।

আর ভোটের নয় দিন বাকি থাকতে এবার আবেদন নিয়ে সুরুজ আইনজীবী হিসেবে বেছে নেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানকে। সেই সঙ্গে আবেদন করেন নতুন একটি বেঞ্চে। আর এইবার ভোটে তিন মাসের স্থগিতাদেশ আসে। সেই সঙ্গে সুরুজের ইউনিয়নের ছয় মৌজার বিষয়টিতে জারি হয় রুল।

১০ এপ্রিল সুরুজ যখন এই আবেদন করেন তখন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে যায়নি। আর আদালত থেকে ফিরে প্রায় এক মাস আর তিনি এ নিয়ে আইনি চেষ্টা চালাননি। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ২৪ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ হয়, সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রচার। ১২ দিন প্রচার চলার পর আর বাকি ছিল নয় দিন। এর মধ্যে সুরুজ আবার ছুটে গেলেন উচ্চ আদালতে।

গাজীপুরে নির্বাচন বন্ধ করে আপনার কী লাভ?- এমন প্রশ্নে ঢাকাটাইমসকে সুরুজ বলেন, ‘আমি গাজীপুরের ভোট স্থগিত চাইনি। আমি চেয়েছিলাম আমার ছয়টি মৌজার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হোক। এই ছয় মৌজায় প্রায় আট থেকে ১০ হাজার ভোটার রয়েছে। এই ভোটে আমি ২০১১ ও ২০১৬ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এই ছয় মৌজার বাসিন্দারা গাজীপুরের ভোটার না। তারা সকলে শিমুলিয়া-সাভার এলাকার ভোটার।’

রিট সম্পর্কে জানতে চাইলে সুরুজ বলেন, ‘২০১১ সালে আমি প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আর ২০১২ সালে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আমি একটি মামলা করি। ২০১৩ সালের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমার মামলাকে আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদালত। পরবর্তীতে সেটি বাতিল হয়ে যায়। আবার আমি আপিল করি কিন্তু সেটিও নাকচ করে দেয় আদালত।’

সুরুজ জানান তিনি সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং পরপর দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।