কারাগারে বিদ্যুতের কষ্টে খালেদা জিয়া : ফখরুল

ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদ্যুতের যাওয়া আসায় কষ্টে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিবে দাবি, প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাওয়া বৈদ্যতিক পাখা বন্ধ হয়ে যায়, আর তখন মোমবাতির আলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। এসব কারণে তিনি শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছেন।
বুধবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন ফখরুল। এ সময় তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীতে দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে পুলিশের বাধার অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
গ্রীষ্মের গরমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রায়ই বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে বলেও দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আগে কারাগারে জেনারেটর ছিল। কিন্তু এখন নাই। এখন প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’
‘বিদ্যুৎ চলে গেলে মোমবাতি আর হাতপাখা ছাড়া কিছু করার থাকে না।’
‘প্রত্যেক দিন রাতে তার জ্বর আসছে। এটা খারাপ লক্ষণ একজন মানুষের শরীরের জন্য।’
খালেদা জিয়াকে নিম্ন মানের খাবার দেয়ার অভিযোগও করেন ফখরুল। বনে, ‘তাকে বাসা থেকে নেয়া খাবার দেয়া হয় না। ভেতরে যে রান্না করা হয় তারও মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে।’
বিএনপি প্রধান ‘খুবই অসুস্থ’ জানিয়ে আবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির দাবি তোলেন ফখরুল।
‘গতকাল তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। আগে তিন চারদিন পর দেখা করার সুযোগ থাকলেও এখন সাত আটদিন পর দেখা করতে পারছেন। তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি ঠিকমত হাঁটতে পারছেন না।’
‘তিনি (খালেদা জিয়া) আর্থরাইটিসের রোগী। তার হাঁটু প্রতিস্থাপন করা। তাকে যে পরিত্যক্ত স্যাঁতস্যাঁতে কারাগারে রাখা হয়েছে যেখানে বিশুদ্ধ পানির সংকট, ফেরাপি দেয়ার কথা ছিল তা দেয়া হয়নি।’
‘আমরা এসব কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।আমরা সরকারকে বলছি, একজন প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধাটুকু দেয়া হোক। কিন্তু সরকার সেটাও দিচ্ছে না।’
সরকার অনুমোদন না দিলেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি ইউনাইটেড হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান ফখরুল।
এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষকে দেয়া আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে বলেও জেনেছেন ফখরুল। সেখান থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর তথ্যও আছে তার কাছে।
বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। তাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) অনেকেই রিকোয়েস্ট করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা এবং জামিনের বিষয়ে দেশ, বিদেশ থেকে তার কাছে অনুরোধ আসছে যেন ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কিছুই করেননি।’
সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে জামিন বাধাগ্রস্ত করছে বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল। বলেন, ‘তিনি মূল মামলায় জামিন পেলেও এখন মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে রাখতে জামিন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। তাদের (সরকারের) উদ্দেশ্য নির্বাচন পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখা।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















