কারখানায় নোংরা পরিবেশ, ১১ মণ মিষ্টি ধ্বংস
রাজধানীর মিরপুরে মিষ্টি তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেছে। মিষ্টি তৈরির রস ফেলে না দিয়ে চার মাস ধরে পুরনো রসের সঙ্গে নতুন রসে মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল মিষ্টি। আবার একই কারখানার মিষ্টি নগরীর একেক দোকানে বিক্রি হচ্ছিল একেক নামে।
শুক্রবার র্যাবের ভেজালবিরোধী আদালত মিরপুর ১১ নং সেক্টর এই কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এই কারখানার নিজস্ব কোন বিক্রয়কেন্দ্র নেই। এখান থেকে বিক্রমপুর, ভাগ্যকুল, মুসলিম সুইটস সহ আটটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় মিষ্টি সরবরাহ করা হতো।
কারখানাটির পরিবেশও ছিল নোংরা। তীব্র গরমে ঘর্মাক্ত শরীরে শ্রমিকরা কাজ করছিল সেখানে।
মিষ্টি তৈরির জন্য ছানা তৈরিতে সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ গুঁড়ো দুধ। আর ছানা তৈরিতে ব্যবহার করা হতো খাদ্যে ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী রাসায়নিক।
এরপর আদালত মিরপুর ১১ নম্বরের নিউ সোসাইটি মার্কেটের কয়েকটি মাংসের দোকানে অভিযান চালায়। সেখানে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখা ছাড়াও মহিষের মাংসকে গরুর এবং ভেড়ার মাংসকে ছাগলের বলে বিক্রিসহ নানা অভিযোগে চার মাংস বিক্রেতাকে এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘মাংসের সরকার নির্ধারিত যে মূল্য তালিকা দেয়া হয়েছিল, সেটা তারা মানেনি। শুধু তাই নয়, নোংরা পরিবেশে মাংস রেখে দিচ্ছে যেগুলো বেশ কয়েকদিনের পুরনো।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন